রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
খুলনার পাটকল শ্রমিকদের মধ্যে টাকা দিয়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বিএনপির একটি অংশ। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে এই ষড়যন্ত্রের আভাস মিলেছে।
বিশেষ মহলের দাবি, শ্রমিকদের আন্দোলনে ‘উসকানি’ মূলক ওই ফোনালাপটি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এবং দলটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুর।
তাদের দাবি, ওই ফোনালাপের কণ্ঠের সঙ্গে রিজভী এবং মঞ্জুর কণ্ঠের সাদৃশ্য রয়েছে। তবে এ নিয়ে কেউ দায়িত্ব স্বীকার করেনি এবং তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রিজভী-মঞ্জুর কথিত ওই ফোনালাপে তিন লাখ টাকা খরচ করে শ্রমিকদের উসকানির বিষয়টি উঠে এসেছে।
ফোনালাপটি হুবহু বিডি২৪লাইভ ডট কমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো–
ফোনালাপের শুরুতেই নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন: ফোন দিয়েছিলেন?
রুহুল কবির রিজভী: হ্যাঁ।
মঞ্জু: খালিশপুরে আমাদের বিএনপি অফিসে বসে তিনটি স্পট খালিশপুর, খানজাহান আলী থানার দুটি মিল এবং নওয়াপাড়ার দুইটি মিল এখানকার মোট পাঁচটি মিলকে ভাগ করে ৯০ হাজার, ৩০ হাজার এবং ৯৫ হাজার করে মোট তিন লাখ টাকা মিটিং করে দিয়ে আসছি।
রিজভী: আচ্ছা ঠিক আছে।
মঞ্জু: কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কি এখানে যে মঞ্চ আছে সেটা আওয়ামী লীগের। ওখানে শ্রমিক লীগ লেখা আছে। যার কারণে আমরা মঞ্চের দিকে যাই নাই। দূর থেকে কাজ করি আর আলাদা প্রোগ্রাম করি মূল শহরে।
রিজভী: সেভাবেই তো করবেন।
মঞ্জু: মঞ্চের ওইখানে অ্যালাউ করে না, গেলে বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
রিজভী: আপনারা একটা কন্ট্রিবিউট করেছেন দ্যাটস এনাফ।
মঞ্জু: সেটাই প্রচার করছি আমরা, সেভাবেই জানছে।
রিজভী: আপনার সাথে কাল অমিত আর জয়ন্ত থাকবে। আপনি যেখানে যাবেন ওরা সঙ্গে থাকবে। সব বলে দেবেন আপনি।
মঞ্জু: আচ্ছা ঠিক আছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে থেকে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এসব পাটকলের ২৫ হাজার শ্রমিকের পাওনা প্রায় ৬৫ কোটি টাকা।
বন্ধ করে দেওয়া মিলগুলো হচ্ছে- ক্রিসেন্ট জুট মিল, প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল, স্টার জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, ইস্টার্ন জুট মিল, আলিম জুট মিল, কার্পেটিং, জেজেআই জুটমিল।
রিজভী-মঞ্জু ফোনালাপের অডিও শুনতে ক্লিক করুন https://www.youtube.com/watch?v=31fVd1dEkSo