বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক ॥ অর্থনৈতিক, কারিগরি, বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে ৯টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) স্থানীয় সময় দুপুরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় ভবন গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের বৈঠকে এসব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বাংলাদেশ ও চীনের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব দলিলে সই করেন।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের (ডিপিডিসি) আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) মধ্যে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি হয়।
ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ মধ্যে একটি ঋণ চুক্তি এবং প্রিফারেনশিয়াল বায়ার্স ক্রেডিট লোন অ্যাগ্রিমেন্ট নামে আরেকটি চুক্তি সই হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) প্রকল্পের আওতায় পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মধ্যে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশে ও চীন সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয় দুই দেশের মধ্যে।
ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠায় একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডি এই সমঝোতা স্মারকে সই করে।
ইয়ালুঝাংবো ও ব্রহ্মপুত্র নদীর হাইড্রোলজিক্যাল তথ্যবিনিময় ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
সংস্কৃতি ও পর্যটন শিল্প বিনিময়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে চীনের পক্ষে সই করে তাদের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের পক্ষে সই করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গদের আড়াই হাজার মেট্রিক টন চাল সহায়তা দিতে চীনের আন্তজার্তিক উন্নয়ন সহযোগিতা এজেন্সি এবং বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি লেটার অব এক্সচেঞ্জ সই হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে চীনের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনারের মাধ্যমে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
বেলা সাড়ে ১০টার পর প্রধানমন্ত্রী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গ্রেট হলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং।
গ্রেট হলের সামনে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিচিত হন সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাগতিক চীনের প্রধানমন্ত্রী।
গ্রেট হলের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা জানানো হয়। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানিয়ে তোপ ধ্বনি দেওয়া হয়।
বেলা ১১টার দিকে গ্রেট হলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার পর এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।