মঙ্গলবার, ১৫ Jul ২০২৫, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : আমাদের চোখের সামনে তার চোখ বেঁধে নিয়ে গেল সাদা পোশাকধারীরা। কারণ জিজ্ঞাসা করতেই গালিগালাজ করলো অকথ্য ভাষায়। এরপর একদিন পার হয়ে গেলেও আমার স্বামীর কোনো সন্ধান পাইনি। তাঁকে খুঁজেছি সাতক্ষীরা থানায়, গোয়েন্দা পুলিশ অফিসে। সবাই বলেছেন তারা মকফুরের কোনো খবর জানেন না। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের মকফুর রহমানের স্ত্রী মারুফা খাতুন।
মারুফা খাতুন বলেন, তার স্বামী মকফুর কোনো দল করেন না। তিনি মাঠেঘাটে কাজ করেন। বছর পাঁচেক আগেও তাকে একবার পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছিল। দুই মাস পর আদালত থেকে মুক্তি পান তিনি। এবার কে বা কারা তাকে তুলে নিয়ে গেল তার কিনারা খুঁজে পাচ্ছি না। তিনি বলেন শনিবার সকাল ৮ টার দিকে মকফুর বাড়ির সামনের রাস্তায় পাট শুকানোর কাজ শুরু করছিলেন। এসময় একটি মোটর সাইকেলে দুই যুবক আসে। তারা সেখানে দাঁড়াতেই চলে আসে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কার। এই কারেই তারা জোর করে টেনে তোলে মকফুরকে। এরই মধ্যে নতুন গামছা দিয়ে তার চোখ বেঁধে ফেলে। আমরা বিষয়টি কী তা জানতে চাইলে আমাদের গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয় তারা।
তিনি বলেন, আমার স্বামী কোনো অপরাধের সাথে জড়িত থেকে থাকলে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে আদালতে হাজির করতেই পারে। কিন্তু থানা বলছে আমরা তাকে ধরিনি। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে আমরা তাকে ধরিনি। অপরদিকে যারা তাকে তুলে নিয়ে গেল তারাও কোনো পরিচয় দিল না। আমি স্বামীর কোনো খোঁজ না পেয়ে সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা থানায় এসে একটি সাধারন ডায়েরি করেছি। নম্বর ১৭২০। আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই। আমি তাকে অক্ষত দেখতে চাই। মারুফা খাতুন এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় তার মেয়ে তানিয়া ও ননদ মমতাজ বেগম উপস্থিত ছিলেন।