সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
ভারতের আসাম রাজ্যে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা (এনআরসি) প্রকাশিত হয়েছে শনিবার। সেই তালিকায় বাড়ির মেয়েদের নাম থাকায় এ বার আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন আসাম লাগোয়া অন্য রাজ্যে বসবাসকারী তাদের স্বজনেরা। তবে আইনি লড়াই লড়া যাবে কী করে, সেজন্য অর্থই বা আসবে কোথা থেকে তা নিয়েও উদ্বিগ্ন অনেকে।
পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার এমন অনেক নারীই রয়েছেন যাদের আসামের বিভিন্ন জেলায় বিয়ে হয়েছে। এনআরসি তালিকা থেকে এমন নারীরাই বেশি বাদ পড়েছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এক বছর আগে আসামে এনআরসির খসড়া তালিকা প্রকাশের সময় দেখা গিয়েছিল, অনেকের নামই তাতে নেই। ফলে সরকারি নিয়ম মেনে ফের আবেদন করেন তারা। এই অবস্থায় চূড়ান্ত তালিকায় সেই নামগুলি এলো কি না তা জানতে শনিবার সকাল থেকেই উৎকণ্ঠা ছিল অন্য রাজ্যগুলোতেও।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর এলাকার এমন অনেক নারী রয়েছেন যাদের নাম নেই।
পাকড়িগুড়ির বাসিন্দা শম্ভু বর্মণ বলেন, এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় আসামের শ্রীরামপুরে বিয়ে হওয়া দিদির নাম নেই। দিদির সব নথিই জমা করা ছিল। তবুও নাম ওঠেনি। এখন কী করবো বুঝতে পারছি না। সবাই বলছে ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে। এখন তারই প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ভল্কা বারবিশা-২ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুবলচন্দ্র দাস বলেন, তালিকায় বোনের নাম নেই। প্রথমে ট্রাইব্যুনালে তো যাবই। তারপর প্রয়োজনে আমরা হাইকোর্টেও যাব। সেজন্য যাবতীয় নথি একত্রিত করছি। তবে আইনি লড়াই লড়তে গেলে অনেক অর্থের প্রয়োজন। এ অর্থ কোথা থেকে আসবে জানি না।
তবে এনআরসি নিয়ে আসাম সীমানার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি জেলার পুলিশ কর্মকর্তাদের। সীমানা লাগোয়া এলাকায় পুলিশের কড়া নজরদারিও চলছে।