রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায় জেলা পরিষদের সরকারী পুকুর পাড়ে’র খাস সম্পত্তি দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। ফলে অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে ময়লা আবর্জানার স্তুপ হতে চলেছে শতশত বছরের পুরানো জেলা পরিষদের পুকুরটি। এককালে স্থানীয় মানুষের নিরাপদ খাবার পানির চাহিদা মেটাতে তালা বাজারের একেবারেই প্রানকেন্দ্রে তালা মৌজার ২ খতিয়ানের ১২৯ দাগের ১ একর ৪০ শতক জমির উপরে পুকুরটি খনন করেন কোন এক ধার্মিক ব্যক্তি। পরবর্তীতে ডিষ্ট্রিক বোর্ড এই পুকুরটি রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব নেন। বর্তমানে একটি স্বার্থন্বেষী মহল পাকা দোকান-পাট সহ বহুতল ভবন নির্মান করে জবর দখল করে সংকীর্ণ করে ফেলেছে পুকুরটি। এ ছাড়া ময়লা-আবর্জনা সহ গরু-ছাগল ও মানুষের মল-মুত্র পুকুরে ফেলার কারণে পানি সংকট দুর করার পরিবর্তে আজ দুর্গন্ধের কারখানায় পরিনত হয়েছে জেলা পরিষদের এই পুকুরটি। তবে পুকুরটি কত সালে খনন করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তালার প্রবীন রাজনীতিক মীর জিল্লুর রহমান জানান, এককালে ধর্ম প্রচার করতে এসে কোন এক ধার্মিক ব্যক্তি স্থানীয় মানুষের খাবার পানির সংকট নিরসনে পুকুরটি খনন করেন। কিন্তু জবর দখল ও বর্জ-ময়লা ফেলার কারণে আজ চরম অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে পুকুরটি।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য, সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন জানান, অবৈধভাবে জবর দখলের ফলে একদিকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অপরদিকে পচা দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ দুষিত হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য,মাহফুজা সুলতানা রুবি জানান, জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধ ভাবে ৪৮টি পাকা দোকান ঘর ও ১২টি পাকা বাড়ী নির্মান করেছে দখলদাররা। অনেকেই তা আবার ভাড়া দিয়ে খাচ্ছে। কেউ কেউ আবার অবৈধ দখলীয় ঘর বিক্রি করেও দিয়েছে।
তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, ইতিপূর্বে জেলা পরিষদের অধীনে তালায় আরও দুটি মার্কেট হয়েছে, তাতে স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতারা উপকৃত হচ্ছে। জেলা পরিষদের অত্র পুকুরটি ভরাট করে পরিকল্পিত ভাবে মার্কেট নির্মান করলে সরকারের রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি তালা বাজারে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ তৈরী হবে।