মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ন
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : গাজীপুর সিটি করর্পোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তাকে আটক করা হয়।
আটক জাহাঙ্গীর নেত্রকোনার কমলাকান্দা উপজেলার শিবপুর এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে। তিনি কোনাবাড়ী পারিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া থাকতেন।
মামলার বরাত দিয়ে কোনাবাড়ি থানার ওসি মো. এমদাদ হোসেন জানান, কোনাবাড়ী এলাকায় বড় বোনের ভাড়া বাসায় থেকে চাকুরি খুঁজছিলেন ভিকটিম। ছোট বোনের চাকুরির ব্যবস্থা করে দিতে একই বাড়ির পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মো. জাকারিয়াকে অনুরোধ করেন। পরে জাকারিয়া তার পরিচিত মো. জাহাঙ্গীর আলমকে দিয়ে ভিকটিমকে একটা চাকুরির ব্যবস্থা করে দেবেন আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার সকালে জাকারিয়া পারিজাত এলাকায় জাহাঙ্গীরের ভাড়া বাসার সামনে ভিকটিমকে নিয়ে যান। পরে জাকারিয়া ভিকটিমকে সেখানে রেখে চলে যায়। এ সময় জাহাঙ্গীর তথ্য জানার কথা বলে ভিকটিমকে তার ঘরের ভেতর নিয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে কৌশলে দরজা আটকে দিয়ে টেলিভিশনের সাউন্ড বাড়িয়ে দিয়ে ধর্ষণ করে। পরে জাহাঙ্গীর ধর্ষনের ঘটনা কাউকে কিছু না বলতে ভিক্টিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘর থেকে বাইরে যায়। এসময় ভিকটিম পালিয়ে বাসায় গিয়ে তার বড় বোনকে ঘটনা জানায়। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হলে এলাকাবাসী জাহাঙ্গীরকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ব্যাপারে ভিকটিমের বড় বোন বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন।
কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।