মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইল (উত্তর ) প্রতিনিধি : ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকারের সামিল বলে মন্তব্য করেছেন সুধিমহল। জাতির জনক বন্ধবন্ধ শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরোদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে শহীদ হয়েছে, মা বোনের ইজ্জ্বত রক্ষা করেছেন, বাংলাদেশের একটি মানচিত্র ও নির্দিষ্ট একটি ভূ-খন্ড চিহিৃত করেছেন, একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন, বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসেবে তৎকালীন বাংলার ৭ কোটি মানুষকে একটি জলন্ত উপহার দিয়েছেন, তারাই এদেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তারাই বাংলা অতন্ত্র প্রহরী, তারাই বাংলার কিংবদন্তী। মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন বাঙালী জাতির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবে। চির স্বরনীয় হয়ে থাকবে তাদের রক্তমাখা ইতিহাস। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন মুক্তিযোদ্ধারা বাংলার ইতিহাসে চির অমর ও অভিস্বরনীয়। জাতি শ্রোদ্ধা ভরে স্বরণ করবে তাদেরকে। পক্ষান্তরে পাক হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকারেরা লুন্ঠন করেছে দেশের সম্পদ শুধু তাই নয় বিনষ্ট করেছে মা-বোনের ইজ্জ্বত। জ্বালিয়ে দিয়েছে বাড়ী-ঘর। অপর দিকে ভূঁয়া মুক্তিযোদ্ধরাও দেশের সম্পদ লুন্ঠন করছে। ছিনিয়ে নিচ্ছে দেশের অর্থ-সম্পদ। সরকারী টাকায় তৈরি হচ্ছে তাদের বসত বাড়ী। ফাঁকি দিচ্ছে বাংলার ১৬ কোটি মানুষকে। তথ্যমতে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতাশীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লক্ষ লক্ষ টাকা উৎকোচ দিয়ে, মামা ভাগ্নের পরিচয়ে ও কতিপয় প্রভাবশালী নেতা নেত্রীর তদারকিতে বানানো হচ্ছে ভূঁয়া মুক্তিযোদ্ধা। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি করতে হলে গ্রাম বা শহরের সর্বস্তরের মানুষের মতামত যাচাই বাছাই করলেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বের হয়ে আসবে বলে জনমতে পাওয়া যায়। ভূঁয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহিৃত হলে যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে কলংক করছে বাংলার মানুষ তাদের উত্তোলতি ভাতা সরকারী রাজস্বকোষে ফেরতসহ সর্ব্বোচ শাস্তি দাবি করেছেন।