সিলেট প্রতিনিধি :।গ্রামবাসীর প্রতিবাদের মূখে অবশেষে বাতিল করা হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ির জন্য সরকারি ২১ লক্ষ টাকার ব্রিজ। এনিয়ে স্থাানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর স্থাানীয়দের পক্ষে একটি দরখাস্ত দিয়েছিলেন গ্রামবাসী।
জানাযায় জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের হাড়িকোনা গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনোয়ার আলীর বাড়ির সামনে তার নিজ বাড়ির জন্য একটি সেতু নির্মাণের জন্য অনুমোদন পান। তিনি ৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আনোয়ার আলীর ছোট ভাই। যা জগন্নাথপুর উপজেলার রাজাকারের তালিকায় তার নাম রয়েছে। চলতি অর্থ বছরে তাদের বাড়িসহ জগন্নাথপুর উপজেলায় ১০ টি সেতু নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। গত ২ জুলাই লটারির মাধ্যমে সেতুগুলোর ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ১০ টি সেতুর মধ্যে সৈয়দপুর হাড়িকোনা রতœাখালের ওপর সৈয়দ মনোয়ার আলীর বাড়ির সামনে ২১ লাখ ১৭ হাজার ৯৯১ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২৪ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ প্রকল্প ছিল। এনিয়ে স্থাানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ সাবির মিয়া বলেন আমাদের গ্রামের অনেক যায়গায় ব্রুজের প্রয়োজন,কিভাবে উনি উনার নিজের বাড়ির জন্য ব্রিজ টি অনুমোদন পেলেন আমি বুধগম্য নয়।তবে ধন্যবাদ জানাই ইউএনও মহোদয়কে উনি একটি বাড়ির জন্য ব্রিজ নির্মাণ বাতিল করে এলাকাবাসীর স্বার্থে এই গ্রামেই অন্য জায়গায় ব্রিজ হবে এই ঘোষণা দেওয়ার জন্য। অভিযোগকারী সৈয়দপুর হাড়িকোনা গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ কোরেশী বলেন, সরকারি অর্থে এক ব্যক্তির বাড়ির জন্য সেতু নির্মাণের বিষয়টি এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের যখন ক্ষমতায় তখন রাজাকারের বাড়িতে সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি মেনে নেয়া যাচ্ছে না। তাই আমি সেতু নির্মাণ কার্যক্রম বাতিলের দাবি জানিয়ে লিখিত আবেদন করেছিলাম। সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনোয়ার আলী বলেন, আমি সরকারের কাছে একটি ব্রিজের আবেদন করেছিলাম। সরকার নীতিমালা অনুসরণ করে আমাকে ব্রিজ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। কিছু মানুষ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমার বির“দ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছিল। তবে তার ভাই রাজাকার কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর জানেন না বলে জানান তিনি। মনোহার আলী ও তার ভাইয়ের তিন পরিবার ছাড়া কেউ ব্রিজের উপকার ভোগ করবে না বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী মাসুদ কোরেশী। জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকল্প প্রণয়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছিলাম। বিষয়টি তদন্ত করেছি। এলাকাবাসীর মতামতে বিত্তিতে গ্রামের অন্যত্র ব্রিজ স্থাানান্তরিত করা হবে বলেও জানান তিনি।