নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মনের স্বেচ্ছাচার, দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতির কারনে জেলার স্বাস্থসেবা মুখ থুবরে পড়েছে।
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল-খুশিমত প্রশাসন চালাতে গিয়ে তিনি এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেনবলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে ও বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন ২০১৭ সালের ৪ জুন যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।
জ¦ালানী, ভাতা, বদলি, নিয়োগ, দরপত্র ও কর্মে অবহেলাসহ নানান স্বেচ্ছাচার, দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতির মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে পড়েন।
জানা গেছে, তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের হাসপাতাল, স্বাস্থকেন্দ্র ও সাব-সেন্টারগুলো পরিদর্শন না করেই তেলসহ নিয়মিত ভ্রমনভাতা বাবদ প্রতিমাসে ১৫- ২০হাজার টাকা উত্তোলন করে থাকেন।
এছাড়াও তিনি পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর না করে দাপ্তরিক নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেন।
তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে তাঁর পরিবারের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমনসহ রংপুরস্থ নিজবাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতও করে থাকেন।
সিভিলসার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন উৎকোচের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পছনন্দমত স্থানে বদলির কাজটিও সমাধাকরে দেন। এতে হাতিয়ে নেন লাখ-লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ২৯জানুয়ারি তাঁর স্বাক্ষরিত একটি আদেশপত্রে এমনই নয়জন নার্সকে পুণরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িক বদলি করেন।
এছাড়াও সিভিল সার্জন সাম্প্রতিক সময়ে বদলিকৃত নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফনার্স কল্পনারানী দাসের বদলি আদেশ আটকিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ৯সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওই বদলিআদেশ বাতিলকরে দু’সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। যা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
বিশেষ সুবিধাকে বিবেচনায় নিয়ে ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন ইতোমধ্যে নিজের বদলিকেও স্থগিত করে নিয়েছেন। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর স্বরক নং-৪৫.১৪৩.০১৯.০৪.০০.০০১.২০১৭-৪৮০/১(২০)-এর এক আদেশে তাঁকে মহাখালীসস্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হলেও তিনি বিভিন্ন উপায়ে তা বাতিল করে নিয়েছেন।