বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৫৫ অপরাহ্ন
সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও পদত্যাগ করেছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন, সদস্য অধ্যাপক মাহবুব কবির ও আরেক সদস্য অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা পদত্যাগ করেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, যেহেতু শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া পূরণে ব্যর্থ, তাই এখানে থাকা আমরা প্রয়োজন বলে মনে করছি না। তাই আমরা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের সহায়তায় হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নির্লিপ্তভাবে উপাচার্যের পক্ষ অবলম্বন করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা শিক্ষক সমিতি থেকে পদত্যাগ করছি।
এর আগে বেলা ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় শাখা ছাত্রলীগ। এরপর দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলনকারীদের আমার বাসভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
হামলায় আটজন শিক্ষক, চারজন সাংবাদিক ও নারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় হামলাকারীরা সাংবাদিকদেরও লাঞ্ছিত করেন। আহত শিক্ষকরা হলেন নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাইদ ফেরদৌস, মীর্জা তাসলিমা সুলতানা, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানাসহ আরও কয়েকজন।