
ফয়সাল রহমান জনি গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গতকাল শনিবার(১৬-জানুয়ারী) গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনের ৯নং ওয়ার্ডের কোমরনই ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ পরবর্তী ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতায় ঐ এলাকাবাসীর সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ,অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৭-জানুয়ারী)দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানায় পুলিশ ও র্যাব এ মামলা দুটি করে। দুটিতেই আসামি করা হয় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনোয়ার-উল সরোয়ার শাহিবসহ ৪১ জন ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও দেড়শ জনকে। শনিবার রাতে সংঘর্ষের পর পুলিশি অভিযানে আটক পাঁচ জনকে এই দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
জানা যায়, গাইবান্ধায় শনিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের কোমরনই কেন্দ্রের ভোট গণনা নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে নির্বাচনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঝে উত্তেজনা ছড়ায়।এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।এরই এক পর্যায়ে এলাকাবাসীও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে, পুলিশ ও র্যাবের গাড়িতে হামলা চালায় ও একটি লেগুনা গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও তিনটি গাড়ী ভাংচুর করে।পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।এ ঘটনায় সময় পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান
পুলিশ ও র্যাবের গাড়িতে হামলা হওয়ায় র্যাব ১৩ নম্বর ক্যাম্পের উপপরির্দশক (এসআই) মোসলেম উদ্দিন ও গাইবান্ধা পুলিশের উপপরির্দশক (এসআই) মোক্তাদির রহমান নিজ বাহিনীর পক্ষে সদর থানায় মামলা করেছে।তিনি বলেন পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন ঘটনার পর বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কোমরনই এলাকাসহ পৌর শহরজুড়ে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।