মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: লাগাতার লকডাউনের কারনে বিপারে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পাড় করছেন তারা। সরকারি সহযোগিতার আশায় ৭তম দিনেও ঘরে থাকলে ্উপায় না পেয়ে পেটের দায়ে কাজের সন্ধানে এসেও কাজ মিলছে না বলে জানায় ভ‚ক্তভোগীরা।
জেলা শহরের বাসষ্ট্যান্ড, চৌরাস্তা ও কালিবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমজীবী নারী ও পুরুষেরা করোনা ভাইরাসকে অপেক্ষা করে জোটলা বেধে দাঁড়িয়ে আছে কাজের সন্ধানে। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে মাঠে এসেও কাজ মিলছে না তাদের। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে এই শ্রমজীবী অসহায়দের।
কাজের সন্ধানে শহরে আসা রফিকুল ইসলাম জানান পরিবার পরিজনের মুখে একমুঠো অন্ন তুলে দিতেই ভোর হতে না হতেই গ্রামগঞ্জ থেকে কাজের সন্ধানে শহরে এসেছি। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছি। কেউ কাজের জন্য ডাকছে না। প্রেম চন্দ্র বলেন সরকারের দেয়া বিধিনিশেধকে সম্মান জানিয়ে ঘরে থাকতে চাইলেও থাকতে পারছি না। পরিবার পরিজন ও পেটের তারনায় লকডাউনে বেড় হতে হয়েছে। কহিনুর বেগম বলেন আমরা কার কাছে যাবো ? নেতারা বলেন মেম্বারের কথা, মেম্বার বলেন চেয়ারম্যানের কথা। আমাদের খাওয়া নাই, দাওয়া নাই আবার কাজের সন্ধানে আসে প্রশাসনের লোকজনের কাছে পিটাঝাটা খেতে হচ্ছে। অটোচালক সুমন বলেন পেটে যদি ভাত না থাকে বাসায় কতক্ষণ বসে থাকবো আমরা। শামসুল বলেন গত বছর লকডাউনের সময় সরকার, এনজিওসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগিতা করেছে। কিন্তু এই বার লকডাউনের প্রায় ৭ দিন অতিবাহিত হয়ে গেল কেউ এখন পর্যন্ত এক মুঠো চালও দেয়নি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন এখনও পর্যন্ত লকডাউনের কারনে বিতরণ করা হয়নি। খুব শিঘ্রই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আর্থিক সহযোগিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ করা হবে।