ফয়সাল রহমান জনি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ রাসেলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মানহানিকর অপপ্রচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল।
আজ রবিবার শহরের পৌর পার্ক সংলগ্ন সমবায় মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাসেল বলেন- তিনি ১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। তিনি বামনডাঙ্গা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষকও। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাশী। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে স্থানীয় একটি মহল তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
২০০২ সালে বামনডাঙ্গা আঞ্চলিক ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও ২০০৩ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক থাকার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সেই সময়কার ছাত্রদলের কমিটির নামের তালিকায় স্ক্যান করে তার নাম বসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য,২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধী, মানবতা বিরোধী জামায়াত নেতা মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে বামনডাঙ্গায় সহিংসতা ঘটনায় ৪ পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী রাসেল।
উপস্থিত ছিলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক আহসান আজিজ সরদার মিন্টু, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সমসুদ্দিন বাবু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক আবু তালেব চাকলাদার রবিন, দহবন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মশিউর রহমান শুভ, ডিডাব্লিউ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ রতন মিয়া, বামনডাঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আকাশ সহ অনেকে। এসময় অবিলম্বে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা সহ দোষীদের শাস্তির দাবি করেন নেতাকর্মীরা।