সুমন হোসাইন:বেনাপোল স্থল বন্দরের ৩১নং কাঁচা মালের মাঠে আমদানিকৃত মাছের ট্রাকে মিললো দামি শাড়ি ও থ্রীপিস। বেনাপোল বন্দরে চোরাচালান প্রতিরোধে স্থাপিত মোবাইল স্ক্যানিং মেশিনটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকায় আবারো মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বৈধ পথে আমদানি পণ্যের সাথে চোরাচালান বেড়েছে।
গতকাল রাতে আমদানিকৃত মাছের ট্রাক থেকে অবৈধভাবে আনা শাড়ি, থ্রি পিস এর একটি চালান উদ্ধার করেছে কাস্টমস সদস্যরা। পণ্য চালানটির আমদানিকারক মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজ। কাস্টমস থেকে এ চালানটি খালাসের চেষ্টা করছিলেন সোনালী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সী লিমিটেডের শান্ত। এর আগেও শান্ত এধরনের পণ্য চালান খালাশ নিতে গিয়ে একাধিবার আটক করেছে কাস্টমস।
স্থানীয়রা জানান, গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে ভারত থেকে আসা মাছবাহী এক ট্রাক তল্লাশী করে প্রায় ১০ লাখ টাকা মুল্যের গার্মেন্টস সামগ্রী শাড়ী থ্রি পিস উদ্ধার করেছে কাস্টমস সদস্যরা। তবে ঘটনার সাথে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক বা সহযোগী কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেনতেন দায়সারা ব্যবস্থা নেওয়ায় থামছেনা এসব অনিয়ম।
বেনাপোলের সাধারন ব্যবসায়ীরা জানান, মাছের ট্রাকে মিথ্যা ঘোষণায় গার্মেন্টস চোরাচালানের ফলে সৎ ব্যবসায়ীরা পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাছাড়া পরীক্ষন গ্রুপের অসাধু কর্মকর্তাদের অধিক ঘুষ বানিজ্যর যোগসাজশেও বাড়ছে মিথ্যা ঘোষণা।
মাছ বহনকারী ভারতীয় ট্রাক চালক আলমগীর জানান, তার মাছের ট্রাক থেকে কাস্টমস শাড়ি, থ্রি পিস এর চালান উদ্ধার করেছে। তবে মাছের মধ্যে কারা এসব উঠিয়েছে তিনি জানেন না।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট থাকায় নিরাপদ বানিজ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে কাস্টমস কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, চোরাচালান প্রতিরোধে স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। তাছাড়া অবৈধ পণ্যর কোন তথ্য থাকলে কাস্টমসকে সহযোগিতা করবেন।