বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
সুমন হোসাইনঃ
বেনাপোলে লাইসেন্স বিহীন বিদ্যুৎ বিছিন্ন ৬টি করাত কলের পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে তদবির মিশনে নেমেছে স-মিলের মালিকরা। কখনো ইউএনও অফিস কখনো বন বিভাগ কর্মকর্তা,পরিবেশ অধিদপ্তর সহ স্থানীয় হেভিওয়েট নেতাদের মাধ্যমে রফদফার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন এসব মিলের মালিকরা। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে,গত ৫ই মার্চ মঙ্গলবার সকালে বন বিভাগ, বিদ্যুৎ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বেনাপোল পৌরসভার আবাসিক এলাকায় অবৈধ লাইসেন্স বিহীন করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। সমন্বিত অভিযানে এসময় বেনাপোল পৌরসড়কে অবস্থিত লাইসেন্স বিহীন ৪টি করাত কলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে। ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়, বেনাপোল পৌরসভার বাহাদুরপুর সড়কের আবাসিক এলাকায় লাইসেন্স বিহীন ৪টি করাত কল দীর্ঘদিন ধরে বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। যার ফলে এলাকায় অবাধে গাছ কাটা সহ পরিবেশের মারাত্মক হুমকিতে ছিলো। এ ছাড়াও আবাসিক এলাকার মধ্যে মিলগুলো স্থাপিত হওয়ার কারনে ব্যাপকহারে বায়ুদূষন ও শব্দ দূষন করে আসছিলো। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব অবৈধ স-মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। করাত কল আইন-২০১২ এর মতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্থল সীমানা হইতে ন্যূনতম ৫(পাঁচ) কিলোমিটারের মধ্যে এর মধ্যে করাত-কল স্থাপন করা যাবে না।কিন্তু মন্ত্রাণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অসাধু ব্যবসায়ীরা পুনরায় স-মিল গুলো চালু করতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তদবির মিশনে নেমে পড়েছে।
আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মমতা দাস জানান,দীর্ঘ বছর যাবৎ স-মিলের কাঠ চেরার বিকট শব্দ ও কাঠের ধুলাবালি উড়ে আশে পাশের আবাসিকের বাসিন্দারা নানান সমস্যায় ভুগছিলো। স-মিলের পাশে জমি কিনেছিলাম কিন্তু ছেলে মেয়ের পড়া লেখার কথা চিন্তা করে ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। অবৈধ এসব স-মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার করানে আমি বাড়ির কাজ শুরু করেছি।
আবাসিকের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধ স-মিল বন্ধের কারনে এলাকায় স্বস্তি মিলেছে।পৌরসভার নাগরিক হিসাবে অবৈধ এসব স্থাপনা ভবিষৎতে যাহাতে আর চালু করতে না পারে সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। বর্তমান স-মিল গুলো বন্ধ থাকার কারনে একালাকাবাসী শান্তিতে বসবাস করছে।
আবাসিকের আর এক বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে আবাসিকের প্রানকেন্দ্রে করাত কল গুলো চালু থাকার ফলে আমরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছিলাম। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ স-মিল গুলো বন্ধ হয়েছে। কিন্তু আইন অনুযায়ী স-মিল গুলো এখনো অপসারন করা হয়নি। অনতিবিলম্বে আবাসিকের মধ্যে হতে এসব স-মিল অপসারন করার দাবি জানাচ্ছি।
বেনাপোল পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, গত ৫ই মার্চ বেনাপোল পৌরসভার বৈধ লাইসেন্স বিহীন ৪টি করাত কলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এসব করাত কলের বিদ্যুৎ লাইনগুলো শিঘ্রয় অপসারন করা হবে।
বেনাপোল পৌরসভার সচিব সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, পৌরসভার মধ্যে স-মিল গুলো বন্ধ আছে তবে চালুর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। অপসারনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, বিগত পৌরসাশকের সময় অপসারনের জন্য স-মিলগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো। নতুন করে স-মিল চালু বা অপসারনের কোন তথ্য আমার জানা নাই।