শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এনজিও সাদ্দামের প্রকাশ্য সিন্ডিকেট বাণিজ্যে!

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এনজিও সাদ্দামের প্রকাশ্য সিন্ডিকেট বাণিজ্যে!

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এনজিও সাদ্দামের প্রকাশ্য সিন্ডিকেট

সুমন হোসাইন:
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনে প্রতিদিন বাড়ছে লাগেজ পার্টির দৌরাত্ম্য। আর এর নেপথ্যে রয়েছে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহাবুব ও এনজিও কর্মী সাদ্দামের প্রকাশ্য গ্রীন সিগনালের সিন্ডিকেট বাণিজ্যে। বিশেষ সুবিধা দিয়ে ল্যাগেজ প্রতি মোটা অংকের নগত অর্থের মাধ্যমে প্রতিদিন কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকিতে মেতে উঠেছে এই কর্মকর্তারা। আর এই ল্যাগেজ সুবিধার বিনিময়ে প্রতিদিন পকেটে মিলছে লাখ লাখ টাকা। ফলে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে কমে গেছে শাড়ি-থ্রি-পিস-কসমেটিক্স পণ্য আমদানি।

সরজমিনে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন ঘুরে দেখা যায়, ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট কেন্দ্রিক এনজিও কর্মী সাদ্দামের গ্রীন চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতীয় ব্যবসায়ী পাসপোর্ট যাত্রী দিয়ে শারীবদ্ধ ভাবে বড় বড় ল্যাগেজে প্রবেশ করছে দামি কসমেটিক্স,শাড়ি,থ্রি-পিস,সহ উচ্চ শুল্কযুক্ত বিভিন্ন পণ্য। এ ছাড়াও আমদানি নিষিদ্ধ ঔষধ সহ তালিকায় রয়েছে মোবাইল ফোন ও কসমেটিক্স পন্য। এসব ল্যাগেজ পার্টির সিন্ডিকেটের সাথে পূর্ব নির্ধারিত ল্যাগেজ প্রতি ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায় সেটেলমেন্ট করে থাকে সাদ্দাম। গ্রীন সিগনালের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনে সিন্ডিকেট হোতা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহাবুব ও এনজিও সাদ্দামের যোগসাজশে গ্রিন চ্যানেল সিগনালে তল্লাশি ছাড়াই লাগেজ বাইরে বের হয়ে চলে যায়। আবার দাবিকৃত অর্থ না দিতে চাইলে (আটক ব্যবস্থাপনা) ডিএম করা হয় এসব পণ্য। মাঝে মাঝে কৌশলে পণ্য (ডিএম) করার পরও আটককৃত পণ্য অতিরিক্ত টাকায় রফাদফা করেও পণ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কতটি ল্যাগেজ পার্টি বের হয় তার সব দায়িত্ব ব্যবস্থাপনা করেন সাদ্দাম ও সাগর । ডিউটি শেষে সন্ধ্যায় হয় ভাগবাটোয়ারা। এসব ল্যাগেজ সুবিধা দেওয়ার ফলে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

আমদানিকারক সাইদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ বছর ধরে শাড়ী-থ্রি-পিস সহ কসমেটিক্স আমদানি করতেন কিন্ত ফেব্রিক্স এ শুল্ক বৃদ্ধি করার পর থেকে আমদানি করা বাদ দিয়ে ক্যারিংএ পণ্যা দিয়ে দিচ্ছেন। এক ট্রাক শাড়ি থ্রি-পিস ও কসমেটিক্স ৭দিনের মধ্যে ইমিগ্রেশন দিয়ে হাতে হাতে পেয়ে যাচ্ছেন। যেখানে ৬-১২ ডলার পিস হিসাবে ডিউটি সেখানে ক্যারিং এ হাতে মিলছে মাত্র ৪শত টাকায়। আর সব থেকে বেশি লাভ হচ্ছে কসমেটিক্স পণ্যয় যেথানে কাস্টমস ডিউটি প্রায় ১২শত টাকা কেজি পড়ে সেখানে মাত্র ৩শত টাকা কেজিতে ইমিগ্রেশন দিয়ে পার করতে পারছেন। ভারতের পেট্রাপোল বর্ডারের সিন্ডিকেট হোতা সাবের,নাঈম,মহাদেব,হাফিজুর ও দ্বিপ এর মাধ্যমে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে অনায়াশে চলে আসছে গাড়ি গাড়ি পন্য। আর বাংলাদেশে সিন্ডিকেট হোতা ইমরান,জোনাব আলী,সোহেল, জুয়েল, লিটন,হাসান,জালাল,সাহেব আলী,লাবলু,রাজু,ফরিদ,ইব্রাহিম,আশার মাধ্যমে।

সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল চেকপোষ্টের ল্যাগেজ সিন্ডিকেট ও কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মাহাবুব,এনজিও সাদ্দাম ও সিপাইদের সহযোগিতায় ভারতীয় বিভিন্ন ভিসাধারী অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ জন পুরুষ ও মহিলা যাত্রী এই পণ্যবাহী ল্যাগেজ নিয়ে গ্রীন সিগনাল খ্যাত সাদ্দামের সংকেত নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ডিউটিতে থাকলে বন্ধ থাকে সিন্ডিকেটের কার্যক্রম কোন রকম পাশ ফিরলে বা হাউসে গেলে শুরু হয়ে যায় ল্যাগেজ বের হওয়া। ল্যাগেজ সিন্ডিকেট সূত্র মতে, টাকা উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা সাদ্দাম ও কর্মকর্তারা ডিউটি শেষ করে রাত্রে চলে ভাগবাটোয়ারা। এদিকে আমদানিকারক অনেকেই জানিয়েছেন এলসি করে মালামাল আনলে সরকার রাজস্ব পেয়ে থাকে আর পাসপোর্ট যাত্রীরা মালামাল আনলে সরকার কোন রাজস্ব পাইনা রাজস্বর টাকা ঘুষ হিসেবে পকেট ভর্তি হচ্ছে । বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, বতর্মানে যে পরিমাণ পাসপোর্ট যাত্রীরা মালামাল নিয়ে আসছে তাতে আর কসমেটিক্স ও শাড়ি থ্রীপিস ইমপোর্ট করা লাগবে না। তবে এই সাদ্দাম সিন্ডিকেট চ্যানেল ছাড়া কোন যাত্রী প্রবেশ করলে পড়তে হয় নানা সমস্যায় তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে নিত্যান্ত ব্যবহারযোগ্য মালামাল থাকলেও বিভিন্ন ভাবে হয়রানী সহ ভয়ভিতী দেখিয়ে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেই আর উৎকোচ না দিতে পারলে পণ্য ডিএম করে দেওয়া হচ্ছে।

পাসপোর্টযাত্রী আছাদুজ্জামান জানান,সকাল ৯টার সময় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করে দীর্ঘ ২ঘন্টা লেগেছে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে আসতে। সামনে ভারতীয় ল্যাগেজ যাত্রীর কারনে এত ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে সাধারন চিকিৎসা ও ভ্রমন যাত্রীদের।
স্থানীয়রা জানান,ইমিগ্রেশন কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুন নাহার ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহাবুরের সহযোগিতায় এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন ল্যাগেজ পাচার সিন্ডিকেট সদস্যরা। এসব কর্মকর্তা ও এনজিও সাদ্দামের মোবাইল ফোন ট্রাকিং করলে বেরিয়ে আসাবে সকল তথ্য। এছাড়াও আর্ন্তজাতিক চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে ৫ই আগষ্ট পরবর্তী দেশের অনেক নেতা পালানোর অভিযোগ রয়েছে। এমনকি দায়িত্বে থাকা রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুন নাহারের বিরুদ্ধেও কাস্টমসের প্রধান গেট খুলে যশোর জেলা ছাত্র লীগের সা.সম্পাদক পল্লবকে পালানোর সহায়তার চেষ্টা করেছে তার প্রমান মিলেছে। তারা আরও জানান, গোয়েন্দা দিয়ে এনজিও সাদ্দাম,সাগর,নাহিদের ব্যবহৃত মোবাইল সিম কার্ড ট্যাকিং সহ কাস্টমস,বন্দর এবং বিজিবির সিসি ক্যামেরা চেক করলে সব সতত্যা মিলে যাবে।

এ ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসেন এসে দেখে যান। এসময় বহিরাগত সাদ্দাম,সাগর,নাহিদ আপনার এখানে কি করে জানতে চাইলে কোন সদউত্তর দিতে পারিনি।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD