বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২০ অপরাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

মিথ্যা মামলা : পরিত্রাণের জন্য এসপির কাছে আবেদন

মিথ্যা মামলা : পরিত্রাণের জন্য এসপির কাছে আবেদন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার এসআই অমিয় মজুমদার সহ আট থেকে দশ জন পুলিশ সদস্য গত ২৫-১০-২৪ ইং তারিখে রাত দুইটার সময় ভুক্তভোগীর স্বামী এবং তার ছেলেকে বাড়ি থেকে অতর্কিতভাবে কোনো কিছু না বলে তুলে নিয়ে যায়।

 

ভুক্তভোগী অভিযোগপত্রে জানান, তারা কেন কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাড়িতে এসেছেন? তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার ছেলে ওই পরিস্থিতি দেখে ভয়ে কান্না করলে তাকে এসআই অমিয় মজুমদার লাথি মারে। এরপরও ভুক্তভোগী ওয়ারেন্ট এবং অভিযোগের কাগজ দেখতে চাইলে কোনো প্রকার ওয়ারেন্টের কাগজপত্র কিছুই না দেখিয়ে তার স্বামী এবং ছেলেকে জোরপূর্বক ঘর থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী যখন তাদের পেছনে পেছনে কান্না করতে করতে ছুটে যায় যে তার ছেলে এবং স্বামীকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? তখন এসআই অমিয় মজুমদার তার পকেট থেকে একটা কার্ড বের করে দিয়ে শুধু বলে পুরো পরিবারকে বাঁচাতে চাইলে তার মেয়েকে সকাল দশটার মধ্যে ভাঙ্গা থানায় উপস্থিত হতে হবে। তারা তার স্বামী এবং ছেলেকে টেনে হেঁচড়ে গাড়িতে তুলেই দ্রুত গতিতে গাড়ি টান দিয়ে চলে যায় তারপর থেকে তিনি তাদের সাথে আর কোনো যোগাযোগ করতে পারেন নি। কার্ডের দেওয়া নাম্বারে এসআই অমিয় মজুমদাররে সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি কোনো সঠিক তথ্য না দিয়ে বরং তার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে।

 

ভুক্তভোগী মধুখালী থানার ওসির নিকট বিষয়টা জানালে তিনি বলেন, তার কাছে এরকম কোনো তথ্য নাই, তাকে এ ব্যপারে কেউ কোনো ইনফর্ম করে নি। তিনি বলেন, তার থানায় আমার বাড়ি। সেখানে অন্য থানার পুলিশ আসতে হলে আমাকে অবশ্যই জানিয়ে আসতে হবে।

 

কিন্তু তাকে কিছু না জানিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়ি থেকে তার স্বামী এবং ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। পরের দিন লোক মারফত জানতে পারেন যে, তার স্বামী এবং ছেলে ভাঙ্গা থানায় আছে। এরপর এসআই বলে তার স্বামী, ছেলে, মেয়ে এবং ছোট মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে যে মামলার আসামি করা হয়েছে সেই মামলার সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এই মামলা টা তাদেরকে তুলে নেওয়ার পর ব্যাকডেট দিয়ে ইচ্ছাপ্রনোদিত ভাবে সাজানো হয়। এই মামলার বাদী যে মহিলা তাকে তারা কখনো দেখেননি, চিনেনও না। সম্পূর্ণ হয়রানি করার জন্য এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

এর সাথে ভাঙ্গা থানার ওসি মোকছেদুর রহমান এবং এসআই অমিয় মজুমদার সরাসরি যুক্ত আছেন বলে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন।

 

ভুক্তভোগীর ভাষ্য, আমার বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছিল ভাঙ্গা থানার দেওড়া গ্ৰামের রাজ্জাক মাতুব্বরের ছেলে সুরুজ মাতুব্বরের সাথে। বিয়ের পর থেকেই শশুর বাড়ীর লোকজন এবং তার স্বামী সুরুজ মাতুব্বর আমার মেয়েকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে, তারা আমার মেয়েকে সন্ত্রাসী দিয়ে জবাই করার হুমকি দেয়। এরপর আমরা বিষয়টা ফরিদপুর জেলা তৎকালীন পুলিশ সুপার শাহজাহান শাজু সাহেবকে জানালে তিনি মধুখালী থানার তৎকালীন ওসি শহিদুল ইসলাম সাহেবকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেন। তখন তাদের নামে আমরা মধুখালী থানায় জিডি করি এবং পাশাপাশি বিভিন্ন প্রিন্ট এবং অনলাইন মিডিয়ায় এটা নিয়ে অনেক গুলো নিউজ হয়। একপর্যায়ে সুরুজ মাতুব্বরের বড় ভাই মতিয়ার মাতুব্বর নিজে এবং বিভিন্ন লোকজন দিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে আমার মেয়েকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করে। ডিভোর্স দেওয়ার পরও তাদের হুমকি ধামকি থেমে থাকে না। ডিভোর্স দিয়ে মেয়ে তার জীবন নিয়ে তার মত করে চলতে থাকে। কিন্তু তারা বিভিন্ন লোকের মাধ্যেমে বলে আমার মেয়েকে দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে, আসলে মেয়ের ভরণপোষণ এবং দেনমোহরের টাকা কিছুই দেয়নি প্রতারকরা। আমার মেয়ে তাদের কথায় বিরক্ত হয়ে দীর্ঘ একবছর পর তার দেনমোহরানা দাবি করে ফরিদপুর পারিবারিক আদালতে মামলা করে। ওই মামলার পর থেকে তাদের হুমকি ধামকির পরিমাণ আরো বেড়ে যায়, তারা আমার বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের কাছে ফোন করে বলে দেনমোহরের এক টাকাও তারা দিবে না বরং আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে। এটাও বলে যে টাকা খরচ করলেই মিথ্যা মামলা দেওয়া যায়, আমার মেয়েকে দেনমোহর না দিয়ে সেই টাকা খরচ করবে আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য। প্রায় দেড় থেকে দুই মাস আগে আমার ছোট মেয়ের বাসায় ০১৮৮৩৫৮৮১২২ নাম্বার থেকে কল দিয়ে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে কথা বলে, পরবর্তীতে ওই নাম্বারে কল দিলে সেটা রিসিভ করে সুরুজ মাতুব্বরের বড় ভাবি এবং তিনি জানায় ওই নাম্বার থেকে কল দিয়েছিল তার ছোট দেবর ফিরোজ মাতুব্বর। আর ওই নাম্বার টাই হলো এই মামলার বাদীর নাম্বার হিসেবে দেওয়া হয়েছে, এতেই বোঝা যায় যে এই মামলা টা আসলে সুরুজ মাতুব্বর, তার বাবা এবং ভাইদের সাজানো মিথ্যা বানোয়াট মামলা। আমরা ধারণা করছি যে যাকে এই মামলার বাদী করা হয়েছে সে সুরুজ মাতুব্বরের পরিবারের আত্মীয় বা পরিচিত কেউ। বাদী সীমা তাদের কথায় প্রণোদিত হয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজ টা করেছে।

 

আরো উল্লেখ্য যে, যেদিন রাতে আমার স্বামী এবং ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় ঠিক ওই সময় সুরুজ মাতুব্বর তার ইমো একাউন্ট থেকে আমার বড় ভাসুরকে কল দিয়ে বলে রিমা যদি দেনমোহরানার মামলা তুলে নেয় তাহলে তারা ওই মামলা তুলে নিবে। শুধু তখনই না এরপর আরো বেশ কয়েকবার কল দিয়ে আমার ভাসুর এবং দেবরকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়, সে বলে দেনমোহরানার মামলা আমার মেয়ে যদি তুলে না নেয় তাহলে তারা আরো বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে হয়রানি করবে, মাত্র তো হয়রানি করা শুরু হয়েছে। ২৬-১০-২৪ তারিখে আমার ভাসুরের ইমো তে সুরুজ মাতুব্বর তার বড় ভাই মতিয়ার মাতুব্বরের এই 01716261715 নাম্বার দিয়ে বলে বাঁচতে চাইলে আমার বড় ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে সে যেভাবে বলে সেভাবে তার কথা মতো দেনমোহরানার মামলা তুলে নিতে না হলে বিপদ আরো বাড়বে। আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে সেটা যদি সঠিক ভাবে তদন্ত করা হয় তাহলে আসল দোষীদের ধরা যাবে।

 

এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীর দাবি, এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব কোনো উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাকে দেওয়া হোক।

 

এই মর্মে ভুক্তভোগী ফরিদপুর জেলার এসপির কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD