বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
রোববার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতীয় রফতানির ৮৩ ভাগ আসে গার্মেন্টস খাত থেকে। অথচ এই শিল্প বিকাশের প্রধান ভিত্তি শ্রমিকরা পুরস্কৃত হওয়ার পরিবর্তে মালিকদের অমানবিক শোষণ-নির্যাতন আর গার্মেন্টস মালিক প্রভাবিত সরকারের একচোখা আচরণের শিকার হচ্ছে। উৎপাদন বা রফতানি বৃদ্ধি হলেও নতুন মজুরি কাঠামোয় পাঁচ বছরে অর্জিত বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাদ দিয়ে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
শ্রমিক নেতারা বলেন, কোনো শ্রমিকের চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে সে নিজে চাকরি থেকে অব্যহতি নিলে সে গ্রাচ্যুয়টি পাওয়ার অধিকারী হবে না। শ্রম আইনের এ বিধানের সুযোগ নিয়ে মালিকরা শ্রমিকের চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার কিছুদিন আগে ইস্তফা দিতে বাধ্য করছে। আবার যেসব শ্রমিকের চাকরির বয়স ৫ বছরের বেশি তাদের বিরুদ্ধে ২৩ ধারায় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগ তুলে চাকরিচ্যূত করা হচ্ছে। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের ন্যায্য পাওনার দাবি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করছে। আবার আইনানুগভাবে অব্যহতি নেয়া শ্রমিকের প্রাপ্য পাওনাও মাসের পর মাস সময় নিয়ে শ্রমিককে ঘুরাতে থাকে কিন্তু অর্থ পরিশোধ করে না।
তারা আরও বলেন, মজুরি বৃদ্ধির নামে প্রতারণা করে প্রকৃত মজুরি কমিয়ে দেয়া হলেও এখন মজুরি বৃদ্ধির অজুহাতে বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানায় অমানবিকভাবে দৈনিক কাজের টার্গেট বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত কাজের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে শ্রমিকদের অকালে কর্মক্ষমতা হারানোর ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে, যা অবশ্যই জবরদস্তি শ্রমেরই নামান্তর।
সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুলের সভাপতিতে বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, সংগঠক রুহুল আমিন সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।