রবিবার, ০৪ Jun ২০২৩, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
ষ্ঠাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য নরুল ইসলাম ঠান্ডু কর্তৃক দৈনিক মাতৃছায়া পত্রিকার সম্পাদক এম,এইচ, মোতালেব খান কে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। নুরুল ইসলাম ঠান্ডু বলেছেন আমি রাজশাহীতে এম, পি ইলেকশন করবো, তোমার পত্রিকায় আমার নাম রাখ। আমার ভোটের প্রচার ও সমর্থনের জন্য পত্রিকার খুবই দরকার। তখন পত্রিকার সম্পাদক সরল বিশ^াসে নুরুল ইসলাম ঠান্ডু কে সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি পদে দৈনিক মাতৃছায়া পত্রিকায় নাম দিয়ে পত্রিকা প্রকাশ হতে থাকেন। কিছু দিন পরে এ. হালিম বাসার, সাইফুল ইসলাম চয়ন ও আরো অনেকে ভিতরে ভিতরে পত্রিকাটি নিজেদের দখলের নেয়ার জন্য কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তা পত্রিকার সম্পাদক কোন ক্রমেই বুঝতে পারেননি। এক সময় পত্রিকার সম্পাদক কে লোভনীয় মোটা অংকের টাকা দিবে বলে লোভ দেখায় এবং বলে পত্রিকার মালিক সম্পাদক এম. এইচ. মোতালেব খানই থাকবে। শুধু নুরুল ইসলাম ঠান্ডু কে সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি, এ. হালিম বাসার কে নির্বাহী সম্পাদক, সাইফুল ইসলাম চয়নকে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নিযুক্ত করে একটি চুক্তিপত্র করার প্রস্তাব দেয়। পত্রিকার প্রিন্টিং সহ সমস্ত খরচ ঠান্ডুরা বহন করবে, বিপরিতে সম্পাদক কে প্রতি মাসে নগদ এক লাখ টাকা সম্মানি দিবে । সেমতে গত-০১/০৭/১৭ তারিখে একটি চুক্তি হয়। চুক্তির নিয়ম উভয় পক্ষ মেনে চলবে বলে অঙ্গিকার করে। কিন্তু চুক্তি হওয়ার পর থেকে তাদের চরিত্র সম্পৃর্ণ পালটে যায়। তারা সম্পাদককে মাসে এক লাখ টাকা সমানি না দিয়ে অফিসের দরজা বন্ধ করে সম্পাদক কে পত্রিকার মালিকানা লেখে দেয়ার জন্য আক্রমন করে। সেখানে নুরুল ইসলাম ঠান্ডুর উপস্থিতিতে এ. হালিম বাসার, সাইফুল ইসলাম চয়ন ও অন্যান্যরা সম্পাদক কে শারীরিক ভাবে ও হত্যা করার হুমকি দেয়। এক প্রকার সম্পাদক কৌশলে অফিস থেকে বের হয়ে যায় এবং পল্টন মডেল থানায় একটি জিডি করে, জিডি নং ২৭৫ তারিখ: ০৪/১১/২০১৭ পরের দিন সম্পাদক, সে জিডির কপিসহ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন দেন। পরে চুক্তিপত্র বাতিলের জন্য হালিম ও ঠান্ডু দের অফিসে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তিতে তারা দিশেহারা হয়ে পরে এবং সম্পাদক এর স্বাক্ষর জাল করে ৩০০ শত টাকার জুডিশিয়াল ষ্টাম্পে ১৮, লাখ ৪৫ হাজার টাকা সম্পাদক কে নগদ পরিশোধ দেখিয়ে পত্রিকা কিনে নিয়েছে বলতে থাকে কিন্তু এ ভাবে পত্রিকা কোন ভাবেই বেচা কেনা হয় না। ঐ ৩০০ শত টাকার ভুয়া ষ্টাম্প টি নুরুল ইসলাম ঠান্ডু উপর মহল থেকে সম্পাদক কে জামাত, শিবিরের ক্যাডার বানিয়ে জেলে দেয়ার জন্য লেখে আনে এবং পুলিশ তদন্তে সম্পাদক জামাত শিবিরের সংগে সম্প্রক্ত নয় বলে ভুয়া প্রমানিত হয়। পরে আইন সচিব দুলাল সাহেব কে দিয়ে জেলা জজ কে ফোন দিয়ে সম্পাদক কের বিরুদ্ধে ৪২০ ধারা মামলা নেয়ার জন্য আদেশ দেন। সেই দিনেই সম্পাদক কের বিরুদ্ধে ৪২০ ধারা মামলা (জজ কোর্টে) রুজু হয়, সেই দিনই ওয়ারেন্ট হয়, সেই দিনই সকল ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পাদক কে পল্টন থানা কর্তৃক কোন তদন্ত ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়। মামলা নং ১৯ তাং ১৮/০১/২০১৮ পল্টন মডেল থানা ঢাকা। আজ পর্যন্ত সম্পাদক কে কোন তদন্ত কারী পুলিশ কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদও করেননি। বাংলাদেশের কোন আইনে আছে একজন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক কের বিরুদ্ধে যে দিন কোর্টে মামলা হয়, সেই দিনই ওয়ারেন্ট হয়, সেই দিনই গ্রেফতার করা হয়। নুরুল ইসলাম ঠান্ডু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্যের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে পত্রিকাটি দখলে নেয়ার জন্য সম্পাদক কে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়েছে। এখনো বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানোর জন্য উঠে পরে লেগেছে। চলবে………………।