বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
সুমন হোসাইনঃ বেনাপোল কাস্টমস্ হাউসের এনজিওর কাজ করে মাত্র কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে এনজিও কর্মী মুনছুর। নিজ জন্মস্থান ঝিকরগাছায় স্বরসকাটিতে কিনেছেন নামে বেনামে জমি,মাছের ঘের সহ করেছেন বিলাশবহুল বাড়ী। বর্তমান বেনাপোল পৌরসভার ছোটআঁচড়ায় বাড়ী সহ নামে বেনামে একাধিক জমি কিনেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বেনাপোল কাস্টমসে নিয়োজিত কাঁচামাল মাঠে পরীক্ষন গ্রুপে এ কাজ করেন এনজিও কর্মী মুনসুর। অনুসন্ধানে তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বেনাপোল স্থল বন্দরের দ্রুত পচনশীল আমদানী পণ্যের ৩১ নং কাঁচামাল পরীক্ষন গ্রুপে কর্মরত সেটেলমেন্ট খ্যাত এনজিও কর্মী মুনছুর কয়েক বছর কাজ করে বনে গেছে কোটি কোটি টাকার মালিক। বিশাল বাড়ি ফ্লাট সহ কিনেছেন নামে বেনামে জমি। যেখানে কাস্টমসে নেই তাদের কোন বেতন এবং বৈধ পরিচয়। সংশ্লিষ্ট শুল্ক বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা নিজের পকেট ভারী করতেই এসব এনজিও কর্মী রেখেছেন রফদফা করার জন্য। এছাড়াও মুনসুরের রফাদফার সকল টাকা বহন করার জন্য ছোটআঁচড়া গ্রামে নাজিবুর রহমান শুভ নামে আরও একটি এনজিও কর্মী।
বেনাপোল কাস্টমসে অন্যতম কাঁচামাল খ্যাত ৩১ নং পরীক্ষন গ্রুপে ফাইল নিয়ে গেলে পড়তে হচ্ছে নানা বিড়াম্বনায়। “এনজিও কর্মী মুনছুরের অধিপত্যে অতিষ্ঠ সিএন্ডএফ কর্মচারীরা” বলতে গেলে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে ফেলছেন। কোন কারন ছাড়াই অতিরিক্ত অর্থ দাবির ফলে এই বন্দরে কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী। একাধিক সিএন্ডএফ কর্মকর্তা জানিয়েছেন আমাদানী ৩১ নং কাঁচামাল পরীক্ষন গ্রুপে আরও ও এআরওর নামে ফাইল প্রতি ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা দিলে সই হয় সাধারন ফাইল। আর মোটা রাজস্ব ফাঁকি দিতে বিশেষ টিআর সুবিধা দিয়ে ফাইল থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ বাণিজ্যের মূল কারিগর এনজিও মুনছুর। এসব ঘুষ বানিজ্যের ফলে সাধারন আমদানি কারকদের প্রতিটি ফাইলের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেক আমদানি কারক। ফলে কাঙ্খিত রাজস্ব আদায়ে ব্যার্থ হচ্ছে এই বেনাপোল স্থল বন্দর।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে সি এন্ড এফ এ্যাসোসিয়েশনের এক উর্দ্ধতন নেতা জানিয়েছেন,কাস্টমসে কর্মরত বহিরাগত এনজিও কর্মীরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের হয়রানি সহ বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে যাচ্ছে। এ সকল বহিরাগত এনজিও কর্মীদের বেনাপোল কাস্টমস থেকে অপসারণ করলে কাজের গতি বৃদ্ধি সহ রাজস্ব আদায় বহুল অংশে বৃদ্ধি পাবে। আমরা দেশের উন্নায়নের স্বার্থে কাস্টমস হাউস থেকে অবৈধ এসব এনজিও কর্মী দ্রুত অপসারন করতে অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে এসব এনজিও কর্মীদের আটক করে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে ওই সকল সিন্ডিকেট সদস্য ও কতিপয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের অবৈধ আয়ের পরিমান।
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরীর মুঠো ফোনে এনজিও কর্মী মুনছুরের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, মুনছুর নামে আমি কাউকে চিনতে পারছি না তবে ৩১নং আমদানী মাঠে অনেক গুলো সংস্থা কাজ করে আমি তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।