শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৩ অপরাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

রাবি ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নিয়ে অসন্তোষ

রাবি ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নিয়ে অসন্তোষ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শাখার নতুন কমিটি দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এতে করে একদিকে যেমন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে কমিটির নেতারা, অন্যদিকে আগামী কমিটিতে পদত্যাশীদের মধ্যে দানা বেঁধেছে অসন্তোষ। এছাড়া দলীয় শৃঙ্খলা এবং বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে এই শাখার নেতাকর্মীরা।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারন সম্পাদক করে রাবি ছাত্রলীগের ১৩ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। আংশিক কমিটির প্রায় ছয় মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ২০১৭ সালে সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও এখনও হয়নি নতুন কমিটি। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে নতুন কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও তা হবে কিনা- এই নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছে পদপ্রত্যাশী নেতারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগ এক কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাবি ছাত্রলীগের অনেক কর্মী এবং ছোট পোস্টের কর্মীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করে তাদের কোন পরিচয় ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে, যা একজন কর্মীর কাছে কতবড় কষ্টের সেটা আমরা বুঝি। আবার অনেকেই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন। তাই খুব শীঘ্রই বর্তমান সেন্ট্রাল নেতা এবং স্থানীয় নেতাদের দ্রুত এই করুণ পরিস্থিতির খোজ খবর নিয়ে নতুন কমিটি দেওয়া উচিৎ।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে নানা অসন্তোষের কারনে বর্তমান কমিটিতে ২৬৭ জনের ৫০ জনও আর সক্রিয় নেই এবং অনিশ্চয়তায় অনেক ত্যাগী কর্মীরা রাজনীতি থেকে সরে পড়ছেন। এছাড়াও ২৬৭ জন নেতার ভিতর এখন ৫০ জন পোস্টেড নেতাও তাদের ছাত্রলীগ টেন্টে বসেন কি না সন্দেহ, যারা বসেন তাদের বেশির ভাগ ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

সাবেক এক ছাত্রলীগ কর্মী অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান কমিটিতে শুরু থেকেই কোন চেইন অফ কমান্ড ছিলো কি না সন্দেহ, শুরুতে কিছু দিন থাকলেও বর্তমানে তা সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে গেছে। ছোটদের বড়দের সম্মান, বড়দের ছোটদের স্নেহ-শাসন সবকিছুরই এখন ছন্দপতন। বাংলাদেশের ২য় বৃহৎ একটা ইউনিটের যদি এমন করুণ অবস্থা এবং কমিটির মেয়াদ ১ বছর ৮ মাস উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও সম্মেলনের ব্যবস্থা করে যোগ্যদের হাতে ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া তা না হলে রাবি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে মরিচা ধরে পড়বে।’

রাবি ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমাদের ছাত্রলীগের কমিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের হাতে এখন উপর মহলের নেতাকর্মীরা জানে নতুন কমিটি কবে দিবে তারা। তাছাড়া এ বিষয়ে আমার আর কিছু জানা নেই।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে প্রায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি দিতে শুরু করেছি তারই ধারাবাহিকতায় খুব শীঘ্রই রাবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দিতে পারব বলে আশা করছি।’


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD