ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যুৎ থাকলেও ভোল্টেজ কম ! সেচ পাম্প চালাতে না পারায় বিপাকে পড়েছে কৃষক। পানির অভাবে কৃষিকাজ হুমকির মুখে পড়েছে। বিদ্যুতের এই দুর্ভোগ কেবল কয়েক দিন বা মাসের জন্য নয়। বছর জুড়েই চলছে এমন অবস্থা।

শহর-গ্রাম নির্বিশেষে জেলার সর্বত্র শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, লো-ভোল্টেজের কারণে সেচপাম্পসহ সকল ধরনের বৈদ্যুতিক  যন্ত্র চালাতে গেলে  নষ্ট হয়ে যাচেছ ।

কৃষি বিভাগ জানায়, এবার জেলায় ১লাখ ৩৬ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান হয়েছে । কিন্তু  প্রচন্ড তীব্রতাপ শুরু হওযায় উচ্চু ও মাঝারি জমির সদ্য রোপন করা ধানের চারা পানির অভাবে শুকিয়ে যাচেছ।

 সদর উপজেলার উত্তর হরিহরপুর গ্রামে কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন মাঝারি জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পারেননি পানির অভাবে। নিচু জমিতে রোপন করলেও পানির অভাবে সেচ দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজে পরিমান মত পানি উঠে না। একই ভাবে জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রতাই কাশিবাড়ি গ্রামের    কৃষক শরিফুল ইসলাম। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবু সালেহ বলেন, সন্ধ্যার পর গ্রাম এলাকায় লো-ভোল্টেজ দেখা দেয়। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. প্রভাষ কুমার দাশ বলেন, বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের কারণে এসি তো দুরের কথা ফ্যান পর্যন্ত ঘুরে না । এতে  হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুতের অভাবে। বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ  থাকায় পানির পাম্প চলে না। এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র, এমনকি নেবুলাইজার মেশিনও চালানো সম্ভব হয় না। সোমবার জেলা  সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এই অভিযোগ করেন তিনি। স্থানীয় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত সভায়  ঠাকুরগাঁও বিদ্যুৎ বিভাগের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, সৈয়দপুর থেকে দশমাইল ও ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডের  সঞ্চালন লাইনের ত্রুটি ও জরাজীর্ণ হওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে । মেরামত না হওয়া পর্যন্ত দুর্ভোগ পোহাতে হবে এলাকার মানুষকে। স্বাস্থ্য সেবা মিটিংয়ে সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন ।