সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
ইরানের বেসামরিক মহাকাশ সংস্থা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও দুটি গবেষণা সংস্থা তেহরানের অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র এ তিন সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।গত মঙ্গলবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।“মহাকাশ কর্মসূচির আড়ালে ইরানের অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্র বরদাশত করতে পারে না,” নিষেধাজ্ঞার পর এক বিবৃতিতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও।সম্প্রতি ইরানের মহাকাশযান উৎক্ষেপক যন্ত্রের একটি ব্যর্থ পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ত্বরান্বিত করেছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার উত্তর ইরানের ইমাম খোমেনি মহাকাশ কেন্দ্রের উৎক্ষেপণস্থলে তেহরানের একটি রকেট নির্ধারিত সময়ের আগেই বিস্ফোরিত হয়েছিল। জানুয়ারিতে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি।মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইরানের মহাকাশ সংস্থার পাশাপাশি দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ও মহাকাশে যাতায়াত সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যারোনটিকস রিসার্চ ইনস্টিটিউটও থাকছে।এবারই প্রথম ইরানের মহাকাশ বিষয়ক কোনো প্রতিষ্ঠান মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়ল।তেহরান পৃথিবীর কক্ষপথে উপগ্রহ পাঠাতে যে দূর পাল্লার ব্যালিস্টিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, তা পারমাণবিক ওয়ারহেড বহলেও ব্যবহৃত হতে পারে বলে শঙ্কা ওয়াশিংটনের।মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইরানের মহাকাশ সংস্থা উপগ্রহ ও উৎক্ষেপণ যন্ত্রের আধুনিকায়নে ইরানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে দিনের পর দিন কাজ করে আসছে।প্রতিষ্ঠানদুটি একসঙ্গে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা লিকুইড প্রপেলেন্ট ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক প্রতিষ্ঠান শহীদ হিম্মত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গেও কাজ করে। আর অ্যারোনটিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট মহাকাশযান উৎক্ষেপণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হিসেকে কাজ করে।মহাকাশ গবেষণার আড়ালে অস্ত্র কর্মসূচির আধুনিকায়নের এসব অভিযোগ ইরান শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।