শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বিয়ের দাবিতে বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ১২ দিন ধরে অবস্থান করছেন এক তরুনী (২০)। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রলীগ নেতা তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওই তরুনীর।
এ অবস্থায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম সজলের (২৫) কানি কশালগাঁও গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে তরুনীটি।
প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানরত তরুনীর অভিযোগ , বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সজল আমাকে ধর্ষণ করে। আমি তাকে বিয়ে করতে বলেছি। কিন্তু সে তাতে রাজি হয়নি। এ অবস্থায় আমি তার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছি। আমি তাকে বিয়ে করব। অন্যথায় এখানেই আমি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করব।
ওই তরুনী আরও বলেন, এর আগে সজলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছি। ওই মামলার তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে সজল জামিনে মুক্ত হওয়ার দিন থেকে অনশন শুরু করি আমি। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় থানায় মামলা করেছি। জেলে থাকার সময় সজল বলেছে, সে যেদিন জেল থেকে বের হবে সেদিন যেন আমি তার বাড়িতে যাই। তাই এসেছি। কিন্তু এখনো আমাকে বিয়ে করেনি সজল।
এ বিষয়ে সজলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তরুনীর অনশনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সজলের বাবা হামিদুল ইসলাম বলেন, ৩১ আগস্ট থেকে আমার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে ওই মেয়েটি।
সজলের মা সাহেরা বানু বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে মেয়েটি প্র্রেমের সম্পর্ক ছিল এটা সত্য। গত ২৪ জুন ওই মেয়ের পরিবারের লোকজন আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে তাদের বাড়িতে আটকে রাখে। তারা বিয়ের জন্য সজলকে চাপ দেয়। সে রাজি না হওয়ায় ২৬ জুন সজলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। ধর্ষণ মামলায় আমার ছেলে ৬১ দিন কারাগারে ছিল। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ৩১ আগস্ট সজল বাড়ি আসার কিছুক্ষণ পর তার প্রেমিকা আমাদের বাড়িতে চলে আসে। সে তার পরিবারের লোকজনের সহায়তায় বাড়ির একটি কক্ষে ঢুকে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার পারভেজ পুলক জানান, সাজেদুল ইসলাম সজল ছাত্রলীগের কেউ না । তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, উভয় পরিবার বিষয়টি সমঝোতার প্রক্রিয়া চালাচেছ । তবে তিনি বলেন দায়ের করা ধর্ষণ মামলার মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাইনি আমরা। শুনেছি মেয়েটি প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে।