শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০২:১১ অপরাহ্ন
নির্বাচন কমিশনের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনের সূত্র ধরে বেরিয়ে আসে প্রকল্পের অস্থায়ী কর্মচারী মোস্তফা ফারুকের সংশ্লিষ্টতা। এরপর আরো চারজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এর মধ্যে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জয়নাল আবেদীন রোহিঙ্গাদের এনআইডি কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্ত অন্তত ১৫ জনের নাম প্রকাশ করেছে। তাদেরকেও রাখা হয়েছে কঠোর নজরদারিতে।
সিএমপি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘যাদের নাম আসবে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করব, সবার ব্যাপারে তথ্য কালেকশন করব। সম্পৃক্ততা পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানেও চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের ১৫ থেকে ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের পাশাপাশি জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নামও রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দুদক উপপরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
নির্বাচন কমিশন থেকে ল্যাপটপসহ গ্রেফতার হওয়া অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনসহ এ কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্ত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীও এ প্রক্রিয়ায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন এবং এনআইডি উইংয়ের সন্দেহভাজন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক, জানালেন চট্টগ্রামের দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শফিকুল হাসান।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে স্মাটকার্ডধারী এক রোহিঙ্গা ডাকাতের মৃত্যুর পর অনুসন্ধান করতে গিয়ে বের হয়ে আসে এনআইডি উইংয়ের অনিয়মের বিষ্ময়কর নানা তথ্য। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তদন্ত করলেও সমান তালে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশনও।