রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে শনিবার তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যয়নরত দুই হাজারের বেশি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নীতি; যা সমাজের বিরাট অংশকে শোষিত ও বঞ্চিত করছে। সমাজে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি করছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। এ নীতি বাস্তবায়নে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। আমরা দুর্নীতি দূর করে সুনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষার সকল সূচকে দেশ এগিয়ে গেলেও একটি বিষয় ভাবিয়ে তুলেছে। তা হলো সারাবিশ্বে এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত যে জাঁতি যত উন্নত ও শিক্ষিত, সে জাতির মধ্যে অপরাধ প্রবণতা তত কম। কিন্তু বাংলাদেশে উন্নয়নের গতি ও শিক্ষার হার বাড়লেও সামাজিক অপরাধ কমছে না। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয় হলো শিক্ষিত লোকের মাধ্যমেই অপরাধ বেশি ঘটছে এবং এমন কোনো অপরাধ নেই যেটা শিক্ষিত লোকের মাধ্যমে ঘটছে না। এটা কেন হচ্ছে তা নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।’
অনুষ্ঠানে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন বক্তব্য দেন।