বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দরে আসা পণ্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়িয়ে না নিলে তা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে কাস্টমস সেই পণ্য নিলামে তোলে। বিগত ৫ বছরেও বিভিন্ন ধরনের ৫৮৭টি গাড়ি খালাস না নেয়া নিলামে তুলতে চায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। কারণ আমদানিকারকরা খালাস না নিয়ে বন্দরের ভেতরে বছরের পর বছর গাড়ি ফেলে রাখছে। বন্দরকে আমদানিকারকরা একরকম গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছে। ক্রেতা পেলে শুল্ক পরিশোধ করে অনেক আমদানিকারক গাড়ি ছাড়িয়ে নেয়। আর ক্রেতা না পাওয়া পর্যন্ত গাড়ি বন্দরেই রাখা হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায়, নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করলে আমদানিকারকরা মামলা ঠুকে দেন। নিলামে তোলার আগেই শুল্ক পরিশোধ করে তারা গাড়ি নিয়ে যান।
সূত্র জানায়, কাস্টমস বিভাগ বন্দরে দীঘদিন পড়ে থাকা নিলামযোগ্য ৫৮৭টি গাড়ির তালিকা তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে ওই তালিকাটি কমিশনার অফিসে পাঠানো হয়েছে। তালিকায় রয়েছে- প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা, ইলেকট্রিক বাইক ও বাইসাইকেল। বিগত ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১৬টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে বিভিন্ন সময় ওসব গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। কিন্তু আমদানিকারক শুল্ক পরিশোধ করেনি। গাড়িও ডেলিভারি নেয়নি। মূলত বাজারদর পড়ে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় অনেক আমদানিকারক পণ্য ডেলিভারি নিচ্ছে না। দাম বাড়লে তারা ডেলিভারি নেয়।
এদিকে গাড়ির নিলাম প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) মাজেদুল হক জানান, কাস্টম হাউসের সংশ্লিষ্ট শাখা ৫ শতাধিক নিলামযোগ্য গাড়ির একটি তালিকা তৈরি করেছে। কিন্তু ওসব গাড়ির বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিমোভাল লিস্ট পাওয়া যায়নি। ওই তালিকা ছাড়া নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। আর গাড়ির নিলামও একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। কারণ সেক্ষেত্রে প্রায়ই আইনি জটিলতা দেখা দেয়। অনেক সময় নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করলে আমদানিকারক মামলা করে। পরে শুল্ক পরিশোধ করে ডেলিভারি নেয়। এ ধরনের ঘটনা প্রায় ঘটে।