শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
তিনি বলেন, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী আমাদের গণভবনে ডেকে কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছেন। সে বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
লেখক ভট্টাচার্যের বক্তব্যের পর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান। এ সময় তিনি বলেন, আবরার হত্যার ঘটনায় আমরা ইতোমধ্যে নিন্দা জানিয়েছি। আজ আমরা কালো ব্যাজ ধারণ করেছি। আমরা অত্যন্ত ব্যথিত যে একজন শিক্ষার্থী ভাই মারা গেছেন। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার কারণে কেন্দ্রীয় দুই নেতার সমন্বয়ে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছি।
তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। আবরার হত্যার খুনিদের বিচারে দ্রুত বিচার আইনে এই মামলা পরিচালনা করার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে খুনের ঘটনায় জড়িত সবার যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়, সেভাবে মামলা পরিচালনা করার দাবি জানায় ছাত্রলীগ।
আল নাহিয়ান খান বলেন, ছাত্রলীগ কখনও এ ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাসও করে না। অন্যায়কারীদের কোনও জায়গা ছাত্রলীগে নেই। আবরার হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, এর বাইরে আর কারও সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদেরও যেন খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সব নেতা-কর্মীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল আবরার হত্যার ঘটনায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। দেশবিরোধী চুক্তির ধোয়া তুলে আন্তর্জাতিক পরিম-লে দেশকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। কিছু নামসর্বস্ব সংগঠন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এটা মেনে নিতে পারে না।’