বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:২৪ অপরাহ্ন
বুধবার বিকেলে মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে ফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ ধরনের যেসব ঘটনা ঘটছে, তা আজ আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকায় ২২ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করব। যেখানে আমাদের ফ্রন্টের সবাই আসবেন।
গত ১৩ অক্টোবর ফ্রন্টকে ঢাকায় নাগরিক শোক র্যালি করতে দেয়নি পুলিশ। সেক্ষেত্রে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি পাবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, আমাদের তো করে যেতেই হবে। পারমিশন দেবে, না দেবে- আমাদের করেই যেতেই হবে, দেখা যাক।
অনুমতি না পেলে কী করবেন পাল্টা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অবস্থা বুঝে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনসভার অনুমতি না দেয়া মানে সরকার সংবিধানকে লঙ্ঘন করছে। সংবিধানে লেখা আছে, মৌলিক অধিকার আছে সভা-সমিতি করার, বক্তব্য রাখার। যদি এ ধরনের সংবিধান লঙ্ঘন করা শুরু করে আমি মনে করি দেশের মানুষ তাদের (সরকার) ঘাড় ধরে বের করে দেয়া উচিত।
কর্মসূচিগুলো হলো- আবরার হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণস্বাক্ষর অভিযান এবং ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২২ অক্টোবর সমাবেশ।
রেজা কিবরিয়া বলেন, গণস্বাক্ষর অভিযান দেশে-বিদেশে করা হবে। এটার ফরমেট কী হবে তা ফ্রন্টের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে।
তিনি বলেন, এই ক্যাম্পেইনটা অনেকটা আমার বাবা (শাহ এএমএস কিবরিয়া) হত্যার প্রতিবাদে করেছিলাম। রক্তের অক্ষরে শপথের স্বাক্ষর- এই মডেলে তৈরি করা হচ্ছে। আমরা এই গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এটা বড় ডিসপ্লে করব ঢাকা শহরসহ অন্য বড় শহরে। এর দিনক্ষণ পরে জানানো হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, বিএনপির ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, গণফোরামের আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক হোসেন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, জাহেদ উর রহমান, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।