তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে লুক্সেমবার্গের জমাট রক্ষণ ভাঙতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পর্তুগিজদের। অথচ বল দখলে একক আধিপত্য ছিল রোনালদোদের। ১৬তম মিনিটে বের্নান্দো সিলভার গোলে অবশ্য এগিয়ে যায় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধে রোনালদোর প্রভাবেই খেলার মেজাজ পাল্টে গেল। ৬৫তম মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত চিপে ব্যবধান বাড়ানো গোলের দেখা পান রোনালদো। পর্তুগিজ অধিনায়কের আক্রমণ ঠেকাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন গোলরক্ষক। তাই দেখে আস্তে করে তার মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন তিনি। এই নিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ৩ ম্যাচে ৬ গোল করলেন তিনি। এরপর গঞ্জালো গুয়েদেস শেষ মুহূর্তে গোল করে পর্তুগালের বড় জয় নিশ্চিত করেন।
ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সিতে ৯৭৩ ম্যাচে রোনালদোর মোট গোল ৭০০টি (ফিফার হিসাবে ১ গোল কম)। এর মধ্যে ১২টি প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৫৮টি ম্যাচেই গোল করেছেন তিনি। প্রতি ১১২ মিনিটে একটি করে গোল পেয়েছেন তিনি। স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে ৩১ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৩১টি, ইউনাইটেডের হয়ে ২৯২ ম্যাচে ১১৮, রিয়ালের হয়ে ৪৩৮ ম্যাচে ৪৫১ এবং জুভেন্টাসের হয়ে ৩২টি গোল করেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর প্রিয় প্রতিপক্ষ সুইডেন, লাটভিয়া, অ্যান্ডোরা এবং আর্মেনিয়া। এই দলগুলোর প্রতিটির বিপক্ষে ৫টি করে গোল আছে তার। আর ক্লাবের ক্ষেত্রে এগিয়ে সেভিয়া (২৭), অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ (২৫), গেতাফে (২৩), সেল্টা ভিগো (২০) এবং বার্সেলোনা (১৮)।
দারুণ জয় পেলেও ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানেই আছে পর্তুগাল। রোনালদোদের সংগ্রহ পাঁচ ম্যাচে ৩ জয় ও ২ ড্রতে ১১ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা ইউক্রেনের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট।