শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নিরাপত্তা মানদ- বজায় রেখে বেসরকারি উদ্যোক্তারা যে কোনো ধরনের বাহনে এলএনজি পরিবহন এবং যে কোনো ধরনের স্থাপনায় রিগ্যাসিফিকেশন করতে পারবেন। পরিত্যক্ত সাঙ্গু গ্যাস ক্ষেত্রের স্থাপনা এলএনজি লোড-আনলোড বা রিগ্যাসিফিকেশনের জন্য ব্যবহার করা যায় কি না তা সরকার বিবেচনা করছে। সরকার না পারলে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রস্তাবও ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হতে পারে। অতিসম্প্রতি বেসরকারি খাতে এলএনজি স্থাপনা নির্মাণ, আমদানি ও সরবরাহ নীতিমালা-২০১৯ নিয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় নীতিমালার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশে হোটেলে-শিল্পে ছোটো আকারেও এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশনের উদাহরণ রয়েছে। বাংলাদেশে এটি ব্যাবসায়িকভাবে উপযুক্ত হলে উদ্যোক্তারাও ওই একইভাবে এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করতে পারবেন। তবে সরকার বর্তমানে যেভাবে এলএনজি আমদানি ও সরবরাহে ভর্তুকি দিচ্ছে তা বেসরকারি পর্যায়ে থাকবে না। অর্থাৎ পিডিবি বেসরকারি বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যেভাবে ভর্তুডশ দেয়, বেসরকারি এলএনজিতে তা দেওয়া হবে না যেমনটি। বরং ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রয়োজনে এবং নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী আমদানি-রিগ্যাসিফিকেশন করবে।
এ বিষয়ে জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, এলএনজি খাতে বাংলাদেশ নতুন। তাই অনেকে কুপরামর্শ নিয়ে হাজির হয়। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ভালোভাবে বিশ্লেষণ-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। নিরাপত্তা এবং বাণিজ্যিকভাবে উপযুক্ততা বিচার করে এলএনজি আমদানি-সরবরাহ করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।