সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২০ অপরাহ্ন

আপডেট
*** যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরির  জন্য আজই যোগাযোগ করুন  - 01646990850  ***  ভিজিট করুন - www.popularhostbd.com  ***
সংবাদ শিরোনাম :
যশোরে ০৯ বোতল বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ সহ ভারতীয় নাগরিক আটক শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বেনাপোলে শেখ আফিল উদ্দীনের পক্ষে আনন্দ মিছিল নতুন দায়িত্ব পেলেন বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বেনাপোলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে “বাংলাদেশ বুলেটিন”পত্রিকার ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন বেনাপোল কাস্টমস ইমিগ্রেশনে ল্যাগেজ বাণিজ্য শুন্য: রাজস্ব আয় বৃদ্ধি বেনাপোলে স্বর্ন কান্ডে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা বেনাপোলে পাসপোর্ট যাত্রীর ভ্রমণ কর জালিয়াতির হোতা শামিম গ্রেফতার বেনাপোলে স্বর্ণ আত্নসাৎ কান্ডে যুবক অপহরণ থানায় মামলা বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ৬শ৯৫ গ্রাম স্বর্ণ সহ ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী আটক কাশিমপুর মডেল প্রেসক্লাবের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা; সভাপতি হাসান ও সম্পাদক মারুফ হোসেন

নীলফামারীতে বৃষ্টি নেই শ্যালো দিয়ে আমন রোপনে-দিশেহারা কৃষক

 

আব্দুর রশিদ,, নীলফামারী ॥

আষাড় শ্রাবন বর্ষাকাল। কৃষকেরা আমন ধানের চাড়া লাগানোর সময়। কিন্তু এবার দীর্ঘদিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকেরা আমন ধানের চারা লাগাতে পারছে না নীলফামারীতে। কেউ কেউ ডিপ শ্যালোর সেচ দিয়ে আমন রোপন করছেন।খরার তাপে জমি ফাঁটল ধরেছে, দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক।

কয়েক মাস থেকে বৃষ্টি না থাকায় পানির মুখ দেখতে পাারছেনা কৃষক। দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষির উপড় নির্ভরশীল মানুষজন। যাদের সেঁচ সুবিধা রয়েছে তারা সেঁচ দিয়ে আমনের চারা রোপন করছেন। রোপনে দেরি হওয়ায় কৃষকদের আমনের বীজ তলার চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 

জেলা কৃষি অফিস সূএে জানা যায়, এবার নীলফামারীতে আমন ধানের লক্ষ্যমাএা ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৭৫ হেক্টর। বুঝা যাচ্ছে অনাবৃষ্টির কারনে লক্ষ্যমাত্রা পুরন হবে না।

 

সদরের রামনগর ইউনিয়নের কৃষক জামিয়ার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবার বৃষ্টির মুখ দেখির পাওনাই। ক্ষেত খামার শুকিয়া ফাঁটিয়া গেইছে। আষাড় গেলো শ্রাবন যায়ছে একদিনেও বৃষ্টি হয় নাই। হামরা জমিত ওয়া গারিবার পাইছি না। ওয়া গারিবার না পাইলে আমারা বউ ছাওয়াক নিয়া কেমন করিয়া খামো, হামার পেটোত এবার ভাত যাইবে না। মোর তের বিঘা জমি আছে, মুই এলাও গারীবার পাও নাই।

ডোমার উপজেলার কৃষক মো. আয়নাল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হামার এবার মরণ ছারা কিছু নাই। মুই এক বিঘা জমিতেও ওয়া লাগেবার পাও নাই। প্রচন্ড ওউদ ও খরার কারনে আবাদি জমিগুলাত পানি নাই। সেঁচ দিবারও মোর উপায় নাই। মুই এবার কেং করিয়া পরিবার নিয়া চলিম।

 

জানতে চাইলে জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আষাড় শ্রাবন এ দু”মাস বর্ষাকাল, তবুও বৃষ্টি নেই। জমিতে পানি না থাকায় কৃষকেরা আমন রোপনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক কৃষক আবার সেঁচ দিয়ে চারা রোপন করছেন। আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করছি কৃষকদের সাথে কথা বলে সহযোগিতা করার জন্য।

 

 

©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD