শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***
সংবাদ শিরোনাম :

অসহ্য গরমে কম্বল বিতরণের ব্যাখ্যা দিলেন সেই ইউএনও

অসহ্য গরমে কম্বল বিতরণের ব্যাখ্যা দিলেন সেই ইউএনও

কুষ্টিয়ায় অগ্নিকােণ্ড সহায় সম্বল হারানো পরিবারের মাঝে বৈশাখের এই তীব্র গরমে কম্বল বিতরণের ব্যাপারে মুখ খুললেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ইউএনওর একটা ত্রাণ শাখা আছে, সেখানে কম্বল ছাড়া আর কিছু থাকে না। গতবারের শীতকালের কিছু কম্বল রয়ে গিয়েছিল, আমি সেইখান থেকেই কিছু কম্বল নিয়ে ছুটে গিয়েছি। এছাড়া টিন এবং টাকার যে ব্যাপারটা রয়েছে সে বিষয়ে ডিসি সাহেবকে ইতোমধ্যে জানিয়েছি।

তীব্র গরমে কম্বল বিতরণ করে সমালোচনার মুখে পড়া কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন চৌধুরী শনিবার দুপুরে এভাবেই তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘কম্বল ছাড়া টাকা টিন দেয়া হয়, তবে সেটা এখন জেলা প্রশাসন থেকে দেয়া হয়। নগদ অর্থ এবং কম্বল ছাড়া অন্য কোনো সাহায্যের ব্যবস্থা নাই। তাছাড়া আজ কালকের মধ্যেই জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পক্ষ থেকে তাদের টিন এবং অর্থ সাহায্য করা হবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) কুষ্টিয়ার হরিপুরে অগ্নিকাণ্ডে দিনমজুর জাকিরুলসহ দুটি পরিবারের সদস্যদের সবকিছু পুড়ে যায়। এদিন ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন ইউএনও। এরপরই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি

কুষ্টিয়া আবহাওয়া অফিস বলছে, ওইদিন কুষ্টিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুুটে যান কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন চৌধুরী। ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেন শীতকালের কিছু কম্বল। তীব্র গরমে কম্বল বিতরণের ব্যাপারে ইউএনও জুবায়েরকে পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তিনিবিষয়টি বাড়িয়ে বলা হচ্ছেবলেও দাবি করেন। তবে এসময় আগুনে ঘরপোড়াদের ত্রাণ হিসেবে কম্বল দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি

ঠিক কী ভেবে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কম্বল দেয়া আপনার কাছে যুক্তিসঙ্গত মনে হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে ইউএনও জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, আমি তাদের কাছে গিয়ে দেখেছি তাদের পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নাই রাতে যদি একটা মানুষের ঘুমাতে হয়, অন্ততপক্ষে নিচে কিছু দিয়েও তো ঘুমাতে হয়। একেবারে মাটিতে তো মানুষ শুতে পারে না। আমি ভেবেছি তারা অন্তত কিছু সাহায্য পাক। কিছু সাংবাদিক এটিকে বাড়িয়ে দেখছেন। এটি আমলে নিলে নেয়া যায়, তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা যায়। এটা তো আর মাদক না যে এতে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD