শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ অপরাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সোনাতলার কৃষকরা আমন চাষে ব্যস্ত

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সোনাতলার কৃষকরা আমন চাষে ব্যস্ত

বগুড়া প্রতিনিধি : বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার কৃষকরা আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বৃষ্টির অপেক্ষা না করেই তারা শ্যালো বা গভীর নলকূপের সেচের পানি দিয়ে চারা রোপণ করছেন। চারা সংকট সত্ত্বেও এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আমন ধান চাষ হওয়ার আশা রয়েছে।

বগুড়া শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে সোনাতলা উপজেলা। যমুনা ও বাঙালি নদী এ উপজেলাকে ঘিরে রেখেছে। উপজেলার প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি দু’দফা বন্যায় এ উপজেলার ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কাটাতেই কৃষকরা আমন ধান চাষ করছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষকরা বৃষ্টির পানির জন্য অপেক্ষা না করে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। প্রতি বিঘা জমি চাষে পাওয়ার টিলার মালিককে এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা দিতে হচ্ছে। শ্যালো বা গভীর নলকূপ মালিককে বিঘা প্রতি সেচ খরচ ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা মজুরিতে শ্রমিকরা প্রতি বিঘা জমিতে আমন চারা রোপণ করছেন। শ্রমিক সংকট থাকায় কোনও কোনও এলাকায় দ্বিগুণ মজুরি দিয়ে আমন চারা রোপণ করাতে হচ্ছে।

বন্যার কারণে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমন চারার সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ধানের চারা প্রতি পন (৮০ পিস) ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হাটকরমজা কয়েকজন কৃষক জানান, অল্প সময়ে ও খরচে এই ধান ঘরে তোলা সম্ভব। ফলনও হয় বেশ ভালো। উৎপাদন খরচ কম লাভ বেশি।

এ ব্যাপারে সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ জানান, এ উপজেলার প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ সরাসরি কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। চলতি বছর এই উপজেলায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭০ ভাগ ধান রোপণ করা হয়েছে। বন্যার পর জমিতে পলি পড়ায় রাসায়নিক সারের তেমন প্রয়োজন হয় না। ধান রোপণের ১৩০-১৪০ দিনের মাথায় কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারবেন। প্রতি বিঘা জমিতে ১৮-২২ মণ ধান পাওয়া যায়।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD