সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে অবস্থিত রংপুর সুগারমিল লিঃ এর আওতাধীন সাহেবগঞ্জ কৃষি খামারে আদিবাসি সাঁওতাল নামধারীরা সরকারী কাজে বাধা, শ্রমিক-কর্মচারীদের অপহরণ ও মারধর করার প্রতিবাদে এবং শ্রমিক কর্মচারীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে শ্রমিক-কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলণ অনুষ্ঠিত।
১লা সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০ টায় রংপুর চিনিকলের প্রধান ফটকে এ সংবাদ সম্মেলণ পাঠ করেন, রংপুর সুগারমিলের শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ফটু। তিনি সংবাদ সম্মেলণে রংপুর সুগার মিলের আওতাধীন সাহেবগঞ্জ কৃষি খামারের বর্তমান বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, বিগত ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সরকারের সার্বিক সিদ্ধান্তে সাহেবগঞ্জ কৃষি খামারের অভ্যন্তরে তৈরী অবৈধ স্থাপনা সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমন্বয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। ওই অভিযানে মিলের শ্রমিক-কর্মচারি সহ সকল জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ মর্মে প্রশাসন মাইকিং করেন। উক্ত উচ্ছেদ অভিযানের পরদিন হতেই সুগার মিল কর্তৃপক্ষ পূর্বের ন্যায় আখচাষ সহ সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল। গত ১৭ মার্চ ২০১৯ ইং তারিখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকীতে সাঁওতাল নামধারী ভূমিদস্যুরা তীরধনুক, হাসুয়া, দা, লাঠি সহ বেড়াজাল ভেঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় খামারের কুয়ামারা পুকুর থেকে প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মাছ উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ইং তারিখে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সাংসদ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শ্রমিক নেতা এবং ভূমিদস্যুদের সমন্বয়ে সমঝোতা মিটিং হয়। ওই মিটিংগে সিদ্বান্ত হয়, ভূমিদস্যুদের দাবীনামা প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রশাসনিক ভাবে স্থায়ী সমাধানের জন্য পাঠিয়ে দেয়। যত দিন পর্যন্ত স্থায়ী সমাধান না হয় তত দিন পর্যন্ত সুগার মিল কর্তৃপক্ষ তাদের স্বাভাবিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে। উক্ত সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে সুগার মিল কর্তৃপক্ষ তার স্বাভাবিক কাজ কর্ম পরিচালনা করতে গেলে, এসব সমঝোতা ভঙ্গ করে ভূমিদস্যুরা একের পর এক শ্রমিককে মারধর করতে থাকে প্রশাসনের সামনে। এ যাবৎ ভূমিদস্যুরা সাহেবগঞ্জ খামারের প্রায় ১১০ একর আখক্ষেত নষ্ট করেছে যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনুমান প্রায় ১ কোটি টাকা। উল্লেখিত ঘটনায় থানায় ১১ টি মামলা দেয়া আছে। কিন্তু ২০১৬ সাল হতে অদ্যবধি পর্যন্ত ১ জন আসামীকেও গ্রেফতার করা হয়নি। তাই উত্তরবঙ্গের একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান রক্ষায় রংপুর সুগার মিলের শ্রমিক, কর্মচারী, আখচাষী সহ সর্বস্তরের জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সংবাদ সম্মেলণের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্মসূচি ঘোষনা করেন রংপুর সুগার মিল শ্রমিক কর্মচারী, আখ চাষীরা। উক্ত সংবাদ সম্মেণে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনের সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান দুলাল। এ সময় সুগারমিলের সকল শ্রমিক-কর্মচারী, আখচাষী সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।