শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি : রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আলোচিত সাত হত্যা মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনের সহযোগী স্বপন শিকদার ওরফে টাউট স্বপনের খুটির জোড় কোথায় জানতে চেয়েছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও চিটাগাংরোড যাত্রাবাড়ি সড়কে চলাচলকারী লেগুড়া মালিক শ্রমিকরা। সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রানালয়ের নিশেধাজ্ঞা সর্তেও সড়ক মহাসড়কে পরিবহন চালানো, গাড়ি প্রতি তিশ থেকে পাঁচশ টাকা চাঁদা নেয়াসহ বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা কে এই সিদ্ধিরগঞ্জ ডেমরার নব্য মাস্তান স্বপন, স্বপনকে নিয়েই জনমনে প্রশ্ন বিরাজ করছে এ অঞ্চলে।
সচেতন মহলের দাবি, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টিচাগাংরোড থেকে যাত্রাবাড়ি-চিটাগাংরোড থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়াটার হয়ে যাত্রাবাড়ি সড়কে সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই দেদারছে চলাচল করছে লেগুনা গাড়ি। দূর্ঘটনা রোধে বারবার সরকার এসকল ফিটনেস বিহীন লক্কর জক্কর লেগুনা গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও এক শ্রেনীর পরিবহন চাঁদাবাজদের কারনে কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না দূর্ঘটনা প্রবন এই লেগুনা। ফলশ্রুতিতে প্রতিনিয়তই সড়ক মহাসড়কে ঘটছে দূর্ঘটনা অকালেই প্রাণ হারাচ্ছে অনেক তাজা প্রাণ।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানাগেছে, সাত হত্যা মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনের ভাই মিয়া নূর উদ্দিন ও বাচ্চু খন্দকারকে সাথে নিয়ে স্বপন শিকদার চিটাগাংরোড- ডেমরা স্টাফ কোয়াটার এলাকায় গড়ে তুলেছে চাঁদাবাজির রামরাজক্ত। স্বপনের চাঁদাবাজির পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে হিমশিম খাচ্ছে খোদ প্রশাসনও। তমাল নামে চিটাগাংরোড এলাকার এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, শিকদারের ভাগিনা দীপুর সহযোগীতায় প্রতিদিনের টাকা প্রতিদিন নিয়ে যায় স্বপন শিকদার। টাকা না দিলে লেগুনা শ্রমিকদের উপর হামলা চালায় চাঁদাবাজ স্বপনের লোকজন। সম্প্রতি র্যাব-১১ সাইনবোর্ড থেকে শ্রমিকলীগ নেতা সামাদ বেপারীর প্রায় ১২ জন সাঙ্গপ্রাঙ্গ গ্রেফতারের পর সামাদ বেপারীসহ আরো ৪জনকে একসাথে আটক করে রিমান্ডের খবরে গা ঢাকা দেয় স্বপন শিকদার। ভাগিনা দীপু ছাড়াও স্বপন শিকদারের রয়েছে একটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। এদের পুজি করেই চাঁদা আদায় করছে স্বপন শিকদার। চাঁদাবাজির টাকায় গড়ে তুলেছেন বাড়ি কিনেছেন গাড়ি। ডেমরা এলাকার লোকজন বলেন, স্বপন যে এত বড় পরিবহন চাদাবাজ তাকে দেখলে বুঝা যায় না। তবে তার সাথে প্রায় মেয়ে দেখেন স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডেমরা স্টাফ কোয়াটার হাজী মোয়াজ্জেম আলী স্কুল সংলগ্ন স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, প্রায় নারী নিয়ে আমেদ ফুর্তি করে বেড়ায় স্বপন শিকদার। এলাকায় এমন ভাবে চলে যেন ভাজা মাছটি উল্টে খেতে তার কষ্ট হয়। তবে তিনি ভিতরে ভিতরে নানান অপকর্মের হোতা।
অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকবার এলাকাবাসীর কাছে ধরাও খেয়েছেন তিনি। হারহামেশা মাদব সেবনকারী স্বপন শিকদার বড় মাপের চাঁদাবাজ হয়েও প্রশাসনের ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েগেছেন।
চাঁদাবাজির বিষয়ে র্যাব-১১ এর একজন এ এসপি বলেন, বেশ কয়েক জনের নামে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যারা চিটাগাংরোড ডেমরা এলাকায় চাঁদাবাজি করে। তাদের ধরতে মাঠে কাজ করছে র্যাব বলেও জানান স্বপন শিকদার।
বিষয়টি আমলে নিয়ে শুধু চাঁদাবাজ স্বপন শিকদারই নয় সকল চাঁদাবাজদের পর্যায় ক্রমে গ্রেফতারের কথা জানান নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুনর রশীদ। তিনি বলেন, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ কাজ করছে।