শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন
একাদশ জাতীয় সংসদে প্রথম বিল হিসেবে পাস হলো ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল-২০১৯’। বিলে কৃষির জমির ‘টপ সয়েল’ বা উপরিভাগের মাটি কাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স এবং অনুমোদিত ইট ভাটা ছাড়া ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলের বিধি-বিধান লংঘনজনিত অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। তবে এই বিলের ওপর বিভিন্ন সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েও সংসদে উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলের এমপিরা।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ সংসদের বৈঠকে বিলটি কন্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। এরআগে বিলটি অধিকতর সংশোধনীর জন্য জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এছাড়া পাঁচজন বিরোধী দলীয় সদস্য বিলের ওপর সংশোধনী প্রস্তাবে দিয়ে মুজিবুল হক ও রওশন আরা মান্না ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এর মধ্যে মুজিবুল হক চুন্নু বিলের বিলের বিরোধীতা করে বলেন, ফসলি জমি নষ্ট করে যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন করা হচ্ছে। যে কারণে পরিবেশ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অথচ এধরণের ইটভাটা বন্ধ করে সারাদেশে অটোব্রিকস স্থাপন করা গেলে পরিবেশের ক্ষতি অনেকটা কমানো সম্ভব হবে। রওশন আরা মান্নান পুনরায় সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হওয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়েই শেষ করেন তার বক্তব্য। ফলে কোন রকম বিরোধিতা ছাড়াই বিলটি পাস হয়।
বিলটি পাসের আগে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, এই বিলে অনুমোদিত ইট ভাটা ছাড়া ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে অটোব্রিকস উৎসাহিত করার বিধান রাখা হয়েছে। কারণ একটি অটোব্রিকস-এ একদিনে এক লাখ ইট উৎপাদন করা সম্ভব। আর বছরের ৩৬৫ দিনই ওই ভাটায় ইট উৎপাদন করা যায়। আর এটা করা গেলে সারাদেশে এতো ইট ভাটার প্রয়োজন হবে না। নতুন আইন পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকার রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।