বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন
নীলফামারী প্রতিনিধি : যে যত বেশী মারতে পারবে, সে তত বড় পদ পাবে” এমন হুংকার দিয়ে দ্বীপ্তমান বাংলাদেশ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং সরকারী কলেজের অনার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুল মোমেনকে বৃহস্পতিবার(১৪নভেম্বর) বিকেলে সরকারী কলেজ ছাত্রাবাসের সামনে বেধরক পিটিয়েছে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খাজাঁ মইনুদ্দিন সাদ্দাসসহ তার সহযোগী ৮/১০ জন সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসী সাদ্দাম বাহিনী আব্দুল মোমেনের কাছে থাকা একটি ডিজিটাল ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।
নীলফামারী শহরের কলেজ স্টেশন নয়খালীপাড়ার আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড(৪নং) সভাপতি কবির সরকারের বেকার সন্ত্রাসী পুত্র খাজাঁ মইনদ্দিন সাদ্দাম। দুই বছর পূর্বে শহরের বড়বাজার এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরবর্তীতে মেয়েটি বিয়ের চাপ দিলে সাদ্দাম সুকৈাশলে তাকে মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজের পাশ্ববর্তী দিনাজপুর ক্যানেলের ধারে ঔষধ সেবন করিয়ে ক্যানেলের পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই সংবাদটি আব্দুল মোমেন তার পত্রিকায় প্রকাশ করেন। সংবাদটি প্রকাশের পর নীলফামারীতে তোলপাড় শুরু হয়। পরবর্তীতে সাদ্দামের পরিবার মেয়ের পরিবারকে ক্ষতি পূরণ দিয়ে রক্ষা পায়।
আব্দুল মোমেন জানান, শীর্ষ টাইমস২৪ ডটকম অনলাইন পত্রিকার নীলফামারী প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলামের সাথে সরকারী কলেজের ভিতর দিয়ে তার ছাত্রাবাসে যাওয়ার সময় কলেজ ছাত্রাবাসের সামনে অৎপেতে থাকা খাজাঁ মইনদ্দিন সাদ্দাসসহ তার সহযোগী ৮/১০ জন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা চালায়। তারা আমাকে কিল ঘুষি, রড ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গলা চিপে হত্যার চেষ্টা করে। আর বলতে থাকে ”যে যত বেশী মারতে পারবে সে তত বড় পদ পাবে”। আমার সহযোদ্ধা রাশেদুল ইসলাম আমাকে বাচাঁতে চিৎকার শুরু করলে আমাদের সঙ্গে থাকা একটি ডিজিটাল ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অসচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ আপেলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার জানান, আমি নীলফামারীর বাহিরে রয়েছি। বিষয়টি জানা নেই। এমন কোন ঘটনা ঘটলে তদন্ত পূর্বক সাদ্দামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।