বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ভিডিও সরবরাহকারী আজম আলী মিয়াকে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক মো. হাসানের বিরুদ্ধে। হুমকির অভিযোগে চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী আজম। আজম বলেন, ওই হুমকির পর নিজের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৫ মার্চ আমি চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ১১৬৬) করি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তবে আমি এসব হুমকিতে ভয় পাই না।
তিনি বলেন, গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক হাসান আমার মোবাইলে কল করে জিজ্ঞেস করেন আগুন লাগার ভিডিও কেন সাংবাদিকদের দিয়েছি। ওই ভিডিও সরবরাহের কারণেই প্রমাণিত হয়েছে যে ওয়াহেদ ম্যানসনের দ্বিতীয় তলা থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন– কাজটা আমি ঠিক করিনি এবং ভবিষ্যতে আমি এর ফল পাবো।
জিডিতে আজম উল্লেখ করেছেন, ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় নন্দ কুমার দত্ত রোডের ৬৪ নম্বর বাসার মৃত ওয়াহেদের ছেলে মো. হাসান তার মোবাইল নম্বর থেকে ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি (আজম) বাসায় থাকাকালীন ফোন করে। ফোনে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সে আমার বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে বারবার বলতে থাকে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীমুর রশিদ তালুকদার বলেন, এ সংক্রান্ত জিডি হয়েছে বলে শুনেছি। আমি অন্যকাজে ব্যস্ত ছিলাম বলে বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ–কমিশনার (ডিসি) ইব্রাহীম খান বলেন, জিডির বিষয়ে যা যা ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন সেসবই আমরা করবো। প্রয়োজনে যিনি জিডি করেছেন তার নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হবে।
প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী আজম আলী মিয়া চুড়িহাট্টার ৬৫/৬৬ নম্বর ভবনের মালিক। তিনি তার ভবনের নিচতলায় রাজমহল হোটেলের এক কোণায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের পরে সেই ক্যামেরার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।
প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ ঘটে অগ্নিকাণ্ডের কথা বলা হলেও আজমের সরবরাহ করা ওই ফুটেজ থেকে স্পষ্ট হয় যে ওয়াহেদ ম্যানসনের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণের পরই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে আগুনের ঘটনায় বিভিন্ন সংস্থার গঠিত তদন্ত কমিটিও এ ভিডিও গুরুত্ব সহকারে নেয় এবং পরে অগ্নিকাণ্ডে ওয়াহেদ ম্যানসনের কেমিক্যাল গোডাউনকে দায়ী করে প্রতিবেদন দেয়া হয়।