বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:০১ অপরাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

স্বাস্থ্যের ওএসডি করা আমিনুলকে পদায়ন

স্বাস্থ্যের ওএসডি করা আমিনুলকে পদায়ন

অনলাইন ডেস্ক : রিজেন্ট কেলেঙ্কারির ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক আমিনুল হাসানকে পদ থেকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছিল গত ২১ জুলাই। ২৬ দিন না পেরোতেই তাঁকে ঢাকা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

গতকাল রোববার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে তিন দিনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

লাইসেন্সবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালের অপকর্ম প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল, করোনা চিকিৎসার মতো স্পর্শকাতর দায়িত্ব এই প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে দেওয়া হলো। এর দায় কার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই ব্যাখ্যায় ক্ষুব্ধ হয়েছে মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে সে সময় বলেছিলেন, তৎকালীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আমিনুল হাসান মহাপরিচালককে এই নথি (ফাইল নোট) দিয়েছেন। তিনি এই হাসপাতালের চুক্তির বিষয়টি দেখভাল করেছেন। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমিনুল সে সময় জানান, সাবেক স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলামের মৌখিক নির্দেশে রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তবে সাবেক স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলাম দাবি করেন, এসব কথা ভিত্তিহীন।

এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে রিজেন্ট কেলেঙ্কারির জন্য কে দায়ী? সাবেক স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল), এই দুজনই তো বহাল তবিয়তে আছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীই আমিনুল হাসানকে পদায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ গত ২১ মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের চুক্তিবিষয়ক চিঠিতে এই কর্মকর্তাই লিখেছিলেন, ‘সচিব স্যারের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা হয়।’ যার কোনো সত্যতা এখনো মেলেনি।

রিজেন্ট কেলেঙ্কারির পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার কর্মকাণ্ড নিয়েও নানা সমালোচনা চলছে। এর আগে বিতর্কের মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগ করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ সব সময় ছিল। করোনা মহামারির সময় এসব অভিযোগ আরও বড় আকারে দেখা দেয়। স্পষ্ট হয়ে ওঠে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অদক্ষতা, ব্যর্থতা। জেকেজি ও রিজেন্ট কেলেঙ্কারির পর মানুষ হতবাক হয়। অনেক মানুষ মনে করে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জড়িত না থাকলে এই মাত্রার দুর্নীতি করা সম্ভব না। এর আগে গত ২২ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা, তদারক ও গবেষণা শাখার পরিচালক মো. ইকবাল কবিরকেও তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

শুধু অধিদপ্তরই নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভূমিকাও বেশ কিছু দিন যাবৎ প্রশ্নবিদ্ধ। এর আগে গত মাসের গোড়ার দিকে করোনা মহামারি মোকাবিলায় আলোচনা–সমালোচনার মধ্যে তখনকার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামকে বদলি করে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব করা হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে সচিব হিসেবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মো. আব্দুল মান্নান।

স্বাস্থ্য খাতের প্রধান হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ও ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকে তাঁর সমালোচনা করে মন্তব্য করছেন।

//সাইফশাহ


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD