এরপরে বিচারক নাসিরউদ্দিন ও অমিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৯ জুন রাতে চিত্রনায়িকা পরী মণি সাভারের বিরুলিয়ার তুরাগ নদের তীরে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে অমির সঙ্গে যান। সে সময় তাঁকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন ক্লাবের কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন মাহমুদ।
গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন পরী মণি। তিনি দাবি করেছেন যে, ছয়জন তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর গত ১৩ জুন রাত ১০টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
সংবাদ সম্মেলনে এই নায়িকা জানান, তিনি জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। নিজ বাসায় তিনি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন না। ঘটনার পর ভোর রাতে বনানী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান এই অভিনেত্রী।
পরে সাভার থানা পুলিশ পরী মণির মামলা গ্রহণ করে। মামলার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ নাসিরউদ্দিন মাহমুদ, অমি ও তিন নারীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে মাদক উদ্ধারের দাবি করে পুলিশ। মাদক মামলায় ১৫ জুন নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও অমিকে সাতদিন করে এবং তিন নারীকে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি। সেই রিমান্ড শেষে ১৯ জুন তিন নারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অপরদিকে নাসিরউদ্দিন ও অমির রিমান্ড শেষ হলে আজ তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়।
#সাঈফশাহ