মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের পাড়েরহাট রাজল²ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের নতুন চারতলা ভবন নির্মাণ কাজে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই এর মধ্যেই খুলে খুলে পড়ছে নির্মানাধীন ভবনের কলামের পলেস্টার। এ কারণে নির্মান কাজ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয়রা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, পিরোজপুর শিক্ষা প্রকৌশলী কার্যালয়ের অধিনে ২ কোটি ৮১ লক্ষ ২২ হাজার ৪১১ টাকা ব্যায়ে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট রাজল²ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের নতুন চারতলা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পিরোজপুরের ‘আলেয়া কন্সট্রাকসশন’ নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এর নির্মানকাজ এর দায়িত্ব পায়।
তবে নির্মানকাজ শুরুর পর থেকেই এ ভবন নির্মানে নিনামমানের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সহ স্থানীয়রা।
এরপর শনিবার বিদ্যালয়ে চতুর্থ তলায় কলামের পলেস্টার খোলার পরপরই সেখানে কলামের পলেস্টার খুলে খুলে পড়ে যাচ্ছিলো। যাতে করে কলামের রড বের হয়ে আসে। নি¤œ মানের নির্মাণ সামগ্রী দেয়ার ফলে বিদ্যালয়টির নব নির্মিত ভবনের আগামীতে কার্যক্রমও পড়েছে ঝুকির মধ্যে। যে কোন সময় হতেই পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। তাই দূর্ঘটনা এড়াতে এই ভবনটি মান সম্মত কাজের মাধ্যমে গড়ে তোলা হোক এমনটাই দাবি শিক্ষক ও এলাকাবাসীর।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য বাবুল খান বলেন, বিদ্যালয়ের কাজের জ্যণ নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে বলে বিদ্যালয়ের কলামে পলেস্টার খুলে খুলে পড়ছে। ঢালাই কাজে বালি ও সিমেন্ট খুবই কম ব্যবহার করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাই এ সমস্যা হয়েছে। আমরা চাই একটি মান সম্মত কাজের মাধ্যমে বিদ্যালয় ভবনের কাজ শেষ হোক।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শিব শংকর সাহা বলেন, বিদ্যালয় ভবনের কাজ হচ্ছে নি¤œমানের। গ্রেড-ননগ্রেড রড দিয়ে পিলারের ঢালাই এর কাজ করেছে। করোনা কালীন সময়ে আমরা বিদ্যালয়ে না থাকায় এই সুযোগে তারা এই নি¤œ মানের কাজ করে ভবনের কাজ শেষ করছে।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোস্তফা তালুকদার বলেস, আমরা বিভিন্ন ভাবে কয়েকবার উপর মহলে অভিযোগ দিয়েছি এই বিষয়ে। কোন কাজ হয়নি। আবার অভিযোগ দেয়ার কারনে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় ভবন নির্মানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আলেয়া কন্সট্রাকসনের মালিক নাসির শেখ জানান, মিস্ত্রিদের ভুলের কারনে এমনটা হয়েছে। ভবনের চতুর্থ তলার কলামের ঢালাই দেয়ার সময় মিস্ত্রি সঠিক ভাবে কাজ না করার জন্যই এ ভুল হয়েছে। তবে ভবন নির্মানে নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা তিনি অস্বীকার করেন।
পিরোজপুর জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিভা সরকার জানান, ঘটনা শোনার পরপরই একজন ইঞ্জিনিয়ার নির্মানাধীন ভবনে পাঠানো হয়েছে। কলাম নির্মানে নি¤œমানের কাজ হলে তা আবার করা হবে । কেন এই ঘটনা ঘটলো এ বিষয়ে ঠিকাদারের কাছে জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হবে এবং পরে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।