আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:
জামালপুর জেলা সদর উপজেলার ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নে হত দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রধানমন্ত্রীর ভিজিএফের ১০ কেজি চালের প্রণোদনায় প্রত্যেককে বিতরণের সময় ৩ থেকে ৪কেজি পরিমাণ কম দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বরাদ্দকৃত ১০ কেজি চালের মধ্যে জন প্রতি ৬-৭ কেজি করে দিলে উপকারভোগীরা প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারীদের জনসম্মুখে মারধর করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মাহবুবুর রহমান মঞ্জু।
চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে
সোমবার ১৯ জুলাই ২০২১ দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার গোপালপুর ঘুন্টি এলাকার মারধরের শিকার অটোরিকশা চালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব ঘটনা জানান। এ সময় তিনি আরও বলেন গতকাল ১৮ জুলাই রবিবার বিকাল ৩টায় আমি বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রণোদনার চাল নিতে যাই। সেখানে জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও প্রত্যেককে ৬ থেকে ৭ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। আমি এর প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান সবার সামনে আমার মুখে কানে চড়-থাপ্পর দেন। এতে আমার কান দিয়ে রক্ত বের হয়। এখন কানে কম শুনছি। আমি ছাড়াও আরও দুই-তিনজনকে মারধর করেছেন ওই চেয়ারম্যান। এ ঘটনা আমি এলাকার মাতব্বরগণকে জানিয়েছি। তাদের পরামর্শে আজ সংবাদ সম্মেলনে আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অনেকের মধ্যে মৃত রহমত আলী শেখের ছেলে মো. মোশাররফ আলী মুছা বলেন, ঘটনাস্থলে আমিও ছিলাম। চাল কম দেয়ার ঘটনা চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে নিজহাতে জাহাঙ্গীর, জহুসহ কয়েকজনকে মারধর করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সে লাইনে বিশৃঙ্খলা করছিল। আমি তাকে লাইন ঠিক করার জন্য ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় অনেকেই ষড়যন্ত্র করছে।