বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন
হাফিজুর রহমান.টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি::
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সব স্কুল-কলেজ আবারও বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এর আগে ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখন আবারও তা বন্ধের ঘোষণায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু রাখার দাবী করেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন।
জানাযায়, উপজেলায় ৬৮টি কিন্ডারগার্টেন ছিল। করোনার কারণে টানা ১৮ মাস বন্ধ থাকায় ১৮টির মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে এ সংখ্যা পঞ্চাশের নিচে। শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ১০ থেকে নেমে ৮ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের গুণগত মানও কমছে।
তারার মেলা কিন্ডারগার্টেন, আইডিয়াল প্রি ক্যাডেট স্কুল, প্রিপারেটরী স্কুলসহ অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ হতাশা প্রকাশ করে জানান, ‘এবারও যদি লম্বা সময় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া আগের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি, তখন আবারও প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে।’
সৃজন একাডেমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক বলেন, ‘আমাদের শাখা সংকুচিত করে ব্যয় কমিয়েও ঘুরে দাঁড়ানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ মুহূর্তে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় আমরা হুমকির মুখে পড়েছি।।’
নাজমুল হক আরও বলেন, করোনাকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরকারী সহযোগীতা ও প্রণোদনা পেলেও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকেরা বঞ্চিত হয়েছেন। বহু কষ্টে ধার-দেনা করে পুনরায় প্রতিষ্ঠান সচল করা হয়েছে। এই মুহূর্তে আবারও করোনার থাবা!
আল আমানাহ কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনেক কষ্টে আবার চালু করেছি। এই মুহূর্তে বন্ধের ঘোষণায় আবারও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আজিজ বলেন, মাত্র কয়েকটি জেলা এখন পর্যন্ত রেড জোনের আওতায়। তাঁর জন্য সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণ করে চালু রাখার দাবী জানান তিনি।
সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন আকন্দ বাদল জানান, এর আগের ধাক্কায় কিছু প্রতিষ্ঠান নতুন করে ঘুরে দাঁড়ালেও ১৮টির মতো একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় এসব বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে।