মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
পচাগলি সড়কের পচা অবস্থা। তিন মাস ধরে নালার পানি জমে আছে। দৃশ্য গতকালের।জুরাইন রেললাইনের পাশের বেশ কয়েকটি সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোতে এখন ময়লা পানি। নালা উপচে সড়কে জমেছে এসব পানি। নালার পানির সঙ্গে সড়কে ফেলা ময়লা মিশে এখন বেহাল দশা। জুরাইনের আলমবাগ-বউবাজার সড়ক, পচাগলি ও গ্যাসপাইপ সড়কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, জুরাইন রেললাইনের পাশ দিয়ে যাওয়া আলমবাগ-বউবাজার সড়কে নালার পানি এবং আবর্জনায় ভরে গেছে। একই অবস্থা পচাগলি ও গ্যাসপাইপ সড়কের। ময়লা পানি মাড়িয়েই রিকশায় করে চলাচল করছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। আলমবাগের বাসিন্দা সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘বউবাজারের রাস্তায় আমার দোকান। সেখানে যাইতে খুবই কষ্ট হয়। রিকশা ছাড়া সড়ক দিয়ে হাঁটার উপায় নাই। সড়কে পানি থাকায় রিকশা ভাড়াও বাইড়া গেছে। কী করমু? বেশি ভাড়া দিয়াই যাওয়া লাগে।’
স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক তৈরির জন্য আশপাশের বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। তা ছাড়া রেললাইনের পাশের অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করে রেলওয়ে। ভাঙা স্থাপনাগুলোর কিছু ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার পরও বড় একটা অংশ এখানে রয়ে যায়। সেগুলো রাস্তার পাশের নালায় পড়ে পানিপ্রবাহ আটকে যাচ্ছে। নোংরা পানি উপচে পড়ছে সড়কে।
পচাগলি সড়কে দাঁড়িয়ে রিকশা খুঁজছিলেন মানিক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘গত তিন মাস এই রাস্তায় চলাচলের লাইগা রিকশাই আমাগো বাহন। প্রতিদিন দুই বেলায় রিকশায় চড়লে খরচে কুলায় না। কে জানে কবে ঠিক হইব সড়ক। আমরা স্বচ্ছন্দে হাঁইটা যামু।’ গ্যাসপাইপ সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন আয়েশা আরিশা। তিনি বলেন, এ পথে নিত্য যাতায়াত করতে হয়। নোংরা পানিতে চলাচলে নাকাল হতে হয়। আশপাশে কয়েকটি রাস্তায় সংস্কারকাজ চলার কারণে সেখান দিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। তা ছাড়া, বৃষ্টি হলে কাদাপানি মাড়িয়ে চলতে হয়।
সড়কগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা এবং আবর্জনার ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে ডিএসসিসি অঞ্চল-৫–এর নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কটিতে যে বহুদিন ধরে পানি জমে আছে তা জানা ছিল না। আমি এখনই খোঁজ নিচ্ছি। শিগগিরই সড়কটি ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’