শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০২ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: চৈত্রের শেষ সময়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ঝড়ো হাওয়া এবং শিলাবৃষ্টির তাÐবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি নিরুপণে মাঠে নেমেছেন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ।
রবিবার (১০এপ্রিল) দুপুরে শিলা বৃষ্টিতে এই ক্ষয়ক্ষতি ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায় জেলার পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গী এবং রুহিয়া প্রায় আধা ঘন্টার শিলা বৃষ্টির দাপটে আম, লিচু, তরমুজ, ভুট্টা, গম, ধান, জামসহ উঠতি মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে কৃষকের। এছাড়াও গাছপালা ও অনেক ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে পড়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে ক্ষতি নিরুপণে মাঠে নেমেছেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী এলাকার মরিচ চাষী ফরিদুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন পরই মরিচ তোলার কথা ছিলো তার। কিন্তু শিলা বৃষ্টিতে দুই বিঘা জমির মরিচ ঝড়ে পড়েছে তার। প্রতিবছর মরিচ বিক্রি করেই তিনি সংসারের সিংহভাগ খরচ বহন করে থাকেন।
বাগান ব্যবসায়ী খাদেমুল ইসলাম বলেন, সাড়ে তিনশ গাছের আমের গুটি ও পাতা ঝড়েগেছে। আমি একদম পথে বসে গেলাম। এর আগে ঠাকুরগাঁও সদরের শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলাম। সে ধকল সামলাতে না সামলাতেই আবারও শিলাবৃষ্টি আমার সবকিছু সর্বমান্ত করে দিয়েছে। গাছে যেসব আমের গুটি আছে তা দিয়ে আর কোন স্বপ্ন দেখতে চাইনা।
রানীশংকৈলের লেহেম্বার ভূট্টাচাষী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভূট্টার মাঠ বিধ্বস্ত হয়েগেছে। ভূট্টার মোচাগুলো পাথরের আঘাতে ভেঙ্গে পড়েছে। গাছগুলো ভেঙ্গে শুয়েগেছে। আমি ৭বিঘা জমিতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছি প্রায় তিন লাখ টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন জানান, আকস্মিক শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ক্ষতির পরিমান নিরুপনে উপ-সহ কৃষি কর্মকর্তাগণ কাজ করছেন।