
শিকদার শামীম আলমামুন, মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
ভোক্তাঅধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম বাজারে মুদি ব্যবসায়ীর বাড়ির শয়নকক্ষের খাটের নিচে, লেপের নিচে, ছাদের সিড়িকক্ষে, এমনকি ঘরে রাখা খাবার স্যালাইনের কার্টুনের ভেতর থেকে যথেষ্ট ঘাটতি থাকা সত্বেও নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না করে অবৈধভাবে মজুদ করা বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা ও উদ্ধারকৃত তেল তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত ভোক্তাদের মাঝে বিক্রয় করা হয়েছে, এ ঘটনায় স্থানীয়রা বেশ খুশি হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাদের সাধুবাদ জানান।
বুধবার দুপুরে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আরা ও মানিকগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে তেলের মূল্যে কারসাজির অপরাধে দড়গ্রাম বাজারে তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০০ লিটার বোতলজাত তেল উদ্ধার করা হয়। অনিক স্টোরের মালিক বাসুদেব বসাককে (৩৫০ লিটার মজুত) ৫০ হাজার টাকা, অসীম স্টোরকে (১০০ লিটার মজুত) ১৫ হাজার টাকা এবং সুধীর স্টোরকে (১৫০ লিটার মজুত) ১০ হাজার টাকা, সাটুরিয়া বাজারে বুদ্ধুসাহা স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসব বিষয়ে আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ‘ঈদের আগে মজুতকৃত বোতলজাত তেল দোকানে প্রদর্শন না করে অতিমুনাফার লোভে বিভিন্ন গুপ্তস্থানে লুকিয়ে গায়ের মূল্য বেশি দামে তেল বিক্রি করা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অনিক স্টোরে মালিক বাসুদেব বসাকের বাসায় গিয়ে খাটের নিচে, লেপ কাঁথার নিচ থেকে অবৈধ মজুতকৃত ৩৫০ লিটার বিভিন্ন ব্রান্ডের বোতলজাত তেল উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে আরও দুই প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫০ লিটারসহ মোট ৬০০ লিটার তেল উদ্ধার করা হয় এবং উদ্ধারকৃত ৬০০ লিটার বোতলজাত তেল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আরার তত্ত্বাবধানে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত ভোক্তাদের মধ্যে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়াও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কাঁচাবাজার ও আটা ময়দার বাজার মনিটরিং করা হয়।অভিযানে উপজেলা সেনেটারী বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ আনসার ব্যাটেলিয়ন সদস্যরা সহযোগীতা করেন।