রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

বেনাপোল জোনাল অফিসে দালাল ছাড়া মেলে না বিদ্যুৎ সংযোগ

বেনাপোল জোনাল অফিসে দালাল ছাড়া মেলে না বিদ্যুৎ সংযোগ

সুমন হোসাইন:

দালালদের হাতে জিম্মি যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বেনাপোল সাব জোনাল অফিস। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ বছর ধরে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে রেখেছে কিছু বহিরাগত ইলেকট্রেশিয়ান, গ্রাম ডাঃ খ্যাত দালালচক্র। সহজলভ্য ভাবে আবাসিক,বাণিজ্যিক, সেচ,দাতব্য,শিল্প,ব্যাটারি চাজিং ষ্টেশন ইত্যাদি বিদ্যুৎ মিটার পাইয়ে দেওয়া ও লাইন নির্মান সহ অবৈধ সংযোগ প্রদান করে দালালরা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর চক্রের হোতারা বনে গেছে কোটি কোটি টাকার মালিক।

এদের মধ্যে অন্যতম কোরবান,আশা,লুৎফার,এনামুল কবির,শাহিন তবে এসব দালালদের আশ্রয় দিচ্ছেন একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেনাপোল পৌরসভা ও ইউনিয়নে এই দালাল চক্র বাদে মিটার মেলেনা বলে দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি। প্রতিদিন সকাল হতে এসব দালালরা বেনাপোল সাব জোনাল অফিসে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সখ্যতায় কাজ শুরু করে আর সন্ধ্যার পরে চলে ভাগবাটোয়ারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমান একটি আবাসিক মিটার সংযোগ পেতে হলে অনলাইনে অবেদন করে ১১৫ টাকা অফিসে জমা প্রদান করলে একজন ওয়ারিং ইন্সপেক্টর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সব ঠিক পেলে তিনি প্রতিবেদন সাবমিট করবেন এবং গ্রাহক ৪৫০ টাকা জমা প্রদান করলে মিটার সংযোগ পাবেন। এখানে কোন ইলেকট্রেশিয়ান বা দালাল প্রয়োজন হবে না। একটি মিটারের জন্য ৫৬৫ টাকা খরচ হবে। কিন্তু পকেট ভারি করতে দালালদের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হচ্ছে বিদ্যুৎ অফিসে। তবে সবসময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে পুরো বিদ্যুৎ অফিস দুর্নীতিবাজদের আখড়া হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

ভবেরবেড় এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দ্রুত একটি আবাসিক মিটার পেতে বেনাপোল সাব জোনাল অফিসের দালাল লুৎফর এর সরনাপন্ন হয় ১৫ দিনের মধ্যে মিটার লাগিয়ে দিবে বলে ২২০০/-টাকা প্রদান করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত মিটার পাইনি। লুৎফরের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায় ৭দিনের মধ্যে মিটার লাগিয়ে দেব।

বেনাপোলের বাসিন্দা মেহেদী মাসুদ জানান, দালাল ছাড়া নতুন বিল্ডিং এর জন্য অনলাইনে দুইটি মিটার আবেদন করেছিলাম। কিছুদিন পর অদৃশ্য কারনে আমার আবেদন বাতিল করেছে জানতে বেনাপোল সাব জোনাল অফিসে গেলে এক কর্মকর্তা জানান আবার নতুন করে আবেদন করুন। কি কারনে আবেদন বাতিল হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখান।

সালাউদ্দিন নামে এক গ্রাহক বলেন, বাড়িতে এসি চালানোর জন্য নতুন একটি মিটার প্রয়োজন হলে বেনাপোল বাজারে সম্রাট কম্পিউটারে অনলাইনে অবেদন করতে গেলে সে জানায় তাড়াতাড়ি মিটার পাবার ব্যবস্থা আছে। কি ভাবে পাব জানতে চাইলে সে ইলেকট্রেশিয়ান কোরবানের সাথে কথা বলিয়ে দেয় ইলেকট্রেশিয়ান কোরবান জানান ১০ দিনের মধ্যে মিটার পাওয়া যাবে তবে তাকে ২০০০ টাকা দিতে হবে। এত টাকা কেন লাগে জানতে চাইলে তিনি জানান,ওয়েরিং ইন্সপেক্টর ৫০০/-জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র ৩০০/- এবং মিটার লাগানোর সময় ২০০/-টাকা দিতে হবে।

এ বিষয়ে বেনাপোল সাব জোনাল অফিসের এজিএম আসাদুজ্জামান বলেন, অফিসের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে দালালরা মিটার ও ট্রান্সফরমার দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে। দালালদের কাজ না করলেই অফিসারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়। দালাল নিয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস বিপাকে রয়েছে।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD