শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

নিরাপত্তা জোরদারে ফেনী নদীতে ঐতিহ্যবাহী বারুণী স্নানোৎসবে ভাটা

নিরাপত্তা জোরদারে ফেনী নদীতে ঐতিহ্যবাহী বারুণী স্নানোৎসবে ভাটা

জেলার রামগড় ও ভারতের সাব্রুম সীমান্তে ফেনী নদীতে মঙ্গলবার দিনব্যাপি ঐতিহ্যবাহী বারুণী স্নানোৎসবে এ বছর ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ ও বাংলাদেশী সীমান্ত বাহিনী বিজিবির নিরাপত্তা জোরদারের কারণে দুই বাংলার পূর্ণার্থী ও দর্শনার্থীদের মিলন মেলা অনেক আংশে ভাটা পড়েছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত রহিঙ্গা ও ভারতের স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরে অবধৈ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিএসএফ ফেনী নদীতে কাঁটাতারের অস্থায়ী বেড়া নির্মান করে কঠোরতা আরোপ করে এবং নদীতে পূর্জা অচনায় দুই দেশের পূর্ণার্থীদের জন্য আলাদা ঘাটে নির্ধারিত জায়গায় স্মান ও পূর্জা অর্চনার সুযোগ দিয়ে সীমান্ত পারাপার সম্পূর্ণ ভাবে রোধ করা হয়। এদিকে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর কড়াকঠিতে বর্ডার গার্ড বিজিবিও গতকাল থেকে বাংলাদেশীদের সীমান্ত পারাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং দুই দেশের সিমান্তে অতিরিক্ত সীমান্ত বাহিনীর টহল বৃদ্ধি করা হয়।

জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলাকে ঘিরে চৈত্রের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশি তিথিতে প্রতিবছর ফেনী নদীতে বারুনী মেলায় মিলিত হন দুই দেশের লক্ষাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও দর্শনার্থী । পূর্ব পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপশি নিজেদের পুর্ণ্যলাভ ও সকল প্রকার পাপ, থেকে মুক্তি লাভের আশায় ফেনী নদীতে বারুনী স্নানে ছুটে আসেন সনাতন ধর্মালম্বীদের শিশু, কিশোর, বৃদ্ধাসহ সকলেই। সকাল থেকে বারুণী স্নান বা পুজা অর্চনা ছাড়াও সীমান্ত পারাপারের সুযোগ থাকায় দুই দেশে অবস্থানকারী আত্মীয় স্বজনদের দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসতে দেখা যায়। বারুণী মেলা শুধু বাঙ্গালী হিন্দু সম্প্রদায়েরর মধ্যে সীমিত নয় বরং ত্রিপুরা, মারমা, চাকমা, মুসলিমসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সমাগম ঘটে এ মেলায়। দু’দেশের স্থানীয় বাজারগুলো তখন মুখরিত হয়ে উঠে বেঁচাকেনা ও পদচারণায়। কিন্তু প্রতি বছরেরমত মেলাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তে পুর্ণাথী ও দর্শনার্থীদের কাছে কিছু বিক্রির আশায় হকাররা নানান পন্য ও রকমারী নিয়ে পশরা সাজালেও এবার তা দেখা যায়নি। তাছাড়া বারুনী মেলাকে কেন্দ্র করে দুই দেশে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনদের সাথে স্বাক্ষাত করতে না পেরে অনেকেই হতাশ মনে ফিরে যেতে দেখা গেছে। তবে নদীর দুই পাড়ের নির্ধারিত ঘাটে স্মান ও পূর্জা অর্চনায় কোন ধরণের বাঁধা ছিলোনা।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD