মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলা সদর মডেল থানাধীন ভোলা পৌরসভার গালর্স স্কুল রোড সংলগ্ন কালিবাড়ি মোড় এলাকায় এ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাসায় দরজার তালা ভেঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকার স্বর্ণালঙ্কার সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে। এতে এক ভাড়াটিয়ার বাসায় অপর ভাড়াটিয়া কর্তৃক এ লুটতরাজ কার্যক্রম চালানো হয়েছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী জানা যায়, ভুক্তভোগী মোছা:- আমেনা বেগম (২৭), সাং-গালর্স স্কুল রোডের, জনৈক এ্যাডভোকেট সালেহ আহম্মেদ এর ভাড়াটিয়া বাসা, ভোলা সদরে থাকেন। তিনি পেশায় একজন গৃহিনী। তাঁর স্বামী ঢাকাতে চাকুরী করেন ও সেখানে থাকে। তিনিও মাঝে মধ্যে তাঁর স্বামীর সাথে ঢাকাতে যান। এদিকে, বিবাদী মোঃ এমরান হোসেন মুন্না (২৮), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-গালর্স স্কুল রোড, জনৈক এ্যাডভোকেট সালেহ আহম্মেদ এর ভাড়াটিয়া হিসেবে এডভোকেট মনির বাসা ভাড়া নেয় , (তাঁর ভাড়াটিয়া বাসার নিচ তলায় ভাড়াটিয়া হিসাবে) ল’চেম্বার দেন, আর সেই উকিলের মহুরি (এমরান ) সেই সুবাদে সাথে বাদীর পরিচয় হয় এবং বিবাদী প্রায় সময় তাঁর ও তাঁর সন্তানের সাথে কথাবার্তা বলে, চকলেট কিনে দিয়ে সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বিবাদী তাঁর কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে মাঝে মধ্যে মোবাইলে কল দিয়ে কথাবার্তাও বলেন। এমনকি বিবাদী প্রথমদিকে তাঁর নিকট জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কি করেন তাদের কামাইয়ের এর উৎস কি, কে কে সাথে থাকে বিস্তারিত বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করতেন। তাঁর স্বামী কোথায় থাকেন কি করেন, ঢাকায় কোথায় বাসা, কোথায় চাকরি করে বিভিন্ন বিষয়ে তাকে ফোনে বলে? পরবর্তীতে বিবাদীর সাথে তার মাঝে মধ্যে কথাবার্তা হয়। অনেক সময় ঠান্ডা পানির জন্য বিবাদী বাদীর বাড়িতে যেতেন, সেই সুবাদে বাদীর কাছ থেকে কিছু টাকা পয়সা হাওলাত নেয় এমরান। খাওলাতের টাকা চাইলে সে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তীতে বাদীর স্বামী সন্তানকে হত্যা সহ বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি প্রদান করে। বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোর স্বামীর লাশ পড়ে থাকবে। গত ১৬/০৫/২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ৭ টায় তাঁর স্বামীর সাথে তাঁর সন্তান সহকারে ভাড়াটিয়া বাসা তালাবদ্ধ করে ঢাকাতে যান।
গত ২২/০৫/২০২৪ তারিখ দুপুর আনুমানিক ২ টার দিকে তাঁর স্বামীকে তাঁর ভাড়াটিয়া বাসার মালিক জানান, পাশের ভাড়াটিয়ারা সকালে বাসার দরজার তালা ভাঙ্গা ও বসত ঘরের মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। এবং তারা বিষয়টি মোবাইলে ভিডিও করে। ও বাড়িওয়ালাকে অবহিত করেন।
অতঃপর তিনি ঘটনার বিষয়টি জানতে বাড়িওয়ালাসহ অন্যান্য ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে শুনেতে পেরে ২৩/০৫/২০২৪ তারিখ ঢাকা থেকে দুপুরে ভোলায় আসেন, ভাড়াটিয়া বাসায় এসে দেখেন, তাঁর ভাড়াটিয়া বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে তাঁর বাসার ভিতর ওয়ার ড্রপের ভিতর স্বর্নের চুড়ি ০১ জোড়া, ওজন অনুমান ০১ ভরি ০৮ আনা, মূল্য অনুমান ১,৫০,০০০/-টাকা, স্বর্নের চেইন ০২টি, ওজন অনুমান ১৪ আনা, মূল্য অনুমান ৮০,০০০/-টাকা, স্বর্নের আংটি ০৪টি, ওজন অনুমান ১০ আনা, মূল্য অনুমান ৬০,০০০/-টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই।
পরবর্তীতে জানতে পারেন বিবাদী গত ২২/৫/২০২৪ তারিখ রাতে তাঁর ভাড়াটিয়া বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে বাসার ভিতর প্রবেশ করে উল্লেখিত মালামাল লুট করে নেন। বর্তমানে বিবাদী তাকে হুমকি ধামকি দিয়া আসছেন এমনকি তার স্বামী সন্তান সহ প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছে । জানাযায় এই কুখ্যাত ইমরান একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি অ্যাডভোকেট মনিরের ছত্র ছায়ায় ভোলাতে বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। উক্ত বিষয়টি বাদী স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকেও অবগত করেছেন।
উল্লেখ্য যে, বাদীর দায়েরকৃত এ অভিযোগে উক্ত বাড়ির মালিকের ভাতিজা সহ নিচতলা ও দোতালার পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া দের সাক্ষী করেন।
স্থানীয় জনগণ জানায় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এবং বাদীর প্রতি ন্যায় বিচার হবে।